স্বপ্ন তো দ্যাখেন অনেক মানুষই। কিন্তু সেই স্বপ্ন সফল করতে পারেন কজন? অনেকেই পেশাগত জীবনে প্রবেশ করে তাঁর শখকে ছেড়ে আসেন। অথবা রুজি রোজগারের তাগিদে ভুলে যান তাঁদের স্বপ্ন আসলে কী! তবে এসবের মধ্যেও আমাদের আশেপাশে এমন বেশ কিছুজন মানুষ রয়েছেন যাঁরা তাঁদের পেশা ও নেশাকে ব্যালেন্স করে চলতে পারেন। কর্মজীবন দক্ষ হাতে সামলে ছুঁয়ে ফেরেন স্বপ্নের শিখর। তেমনই একজন মানুষ হলেন বহরমপুর শহরের অধ্যাপিকা তনুশ্রী ভট্টাচার্য। এই প্রতিবেদনে তাঁর কথা জানবো আমরা।
বহরমপুর শহরের বাসিন্দা তনুশ্রী ভট্টাচার্য। তিনি পেশাগত দিক থেকে কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপিকা। বেলডাঙ্গা এস আর এফ কলেজের অধ্যাপিকা পদে আসীন তিনি। এর পাশাপাশি তাঁর নেশা পাহাড়ে চড়া। বরাবরই ট্রেকিং করতে ভালোবাসেন তিনি। ২০১৯ সাল থেকে ট্রেকিং করা শুরু করেছেন তনুশ্রী। ২০২২ সালে ট্রেকিংয়ের দুটি কোর্স করেছেন তিনি। কিন্তু সরাসরি পর্বতারোহণে এর আগে রওনা দেননি তনুশ্রী। এই প্রথম তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন শৃঙ্গ জয়ের উদ্দেশ্যে। ২১ অগাস্ট রাতে তনুশ্রী তাঁর অভিযাত্রী দলের সঙ্গে অভিযান শুরু করেন। তার পরের দিন অর্থাৎ ২২ অগাস্ট কাঙ ইয়াৎসে-১ জয় করেন তিনি। যার উচ্চতা ৬৪২৬ মিটার। তবে এখানেই থেমে থাকতে নারাজ বঙ্গ তনয়া। কাঙ-ইয়াৎসে শৃঙ্গ জয় করে কাঙ ইয়াৎসে-২ জয়ের পথে পাড়ি জমান তিনি। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় অভিযান মাঝপথে থামানো হয়।
আরও পড়ুনঃ একইসঙ্গে চার সরকারি চাকরিতে উত্তীর্ণ মনীষা
লাদাখের অন্যতম উচ্চ শৃঙ্গ জয় করে বাড়ি ফেরা দামাল মেয়ের জন্য আকাঙ্ক্ষায় মন বেঁধেছেন বঙ্গবাসী। মুখে হাসি ফুটেছে তাঁর পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদেরও। খুশি কলেজের পড়ুয়ারা। নিজের পেশা সামলে যেভাবে তিনি স্বপ্নজয় করেছেন, তা সকল ছাত্রছাত্রীদের কাছে অনুপ্রেরণা। তনুশ্রী ভট্টাচার্য সেই জেদি মেয়ে যিনি ফের একবার প্রমাণ করেন যে পেশা সামলেও স্বপ্ন জয় সম্ভব। মনে জেদ আর সাহস থাকলে শিখর জয় মোটেই কঠিন নয়।