নবম-দশম শ্রেণিতে দুর্নীতির কালো ছায়া গ্রাস করেছে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে প্রকাশ পেয়েছে এসএসসির অযোগ্য প্রার্থীদের নাম। মনে করা হচ্ছিল, শীঘ্রই শুরু হতে পারে চাকরি বাতিল প্রক্রিয়া। এবার সেই চাকরি খোয়ানোর আশঙ্কাতেই আত্মঘাতী হলেন নন্দীগ্রামের শিক্ষিকা টুম্পারানি মন্ডল! আত্মহত্যার কারণ হিসেবে এমনই অভিযোগ তাঁর পরিবারের সদস্যদের।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, মৃত শিক্ষিকার নাম টুম্পারানি মন্ডল। বাড়ি চণ্ডীপুরের ডিহিকাশিমপুর গ্রামে। থাকতেন স্বামীর সাথে শহিপুর গ্রামের ভাড়া বাড়িতে। নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকের দেবীপুর মিলন বিদ্যাপীঠের বাংলার শিক্ষিকা হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালের নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেন তিনি। চাকরি পান ২০১৯ সালে। সম্প্রতি এসএসসির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয় আদালত।
আরও পড়ুনঃ প্রাইমারি টেটে এবারে প্রশ্নপত্র কি রকম হতে চলেছে?
সেইমতো প্রকাশ পায় ১৮৩ জন ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের নাম। সেই তালিকায় ১৮ নম্বরে নাম ছিল শিক্ষিকা টুম্পারানি মন্ডলের। রবিবার সন্ধ্যায় তাঁর শরিপুর গ্রামের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। ওনার স্বামী বাড়ি ফিরে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন। দেহ উদ্ধার করে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাটির প্রসঙ্গে পরিবারের দাবি, চাকরি হারানোর ভয়ে, আশঙ্কায় ও অপমানে আত্মঘাতী হয়েছেন টুম্পারানি দেবী।
চাকরির খবরঃ রাজ্যে গ্রুপ- ডি পদে কর্মী নিয়োগ
সম্প্রতি উচ্চ প্রাথমিকের দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। তদন্তে সামনে এসেছিল বেশ কিছু ‘ভুয়ো’ ওএমআর শিট। এরপরেই বিচারপতির নির্দেশে প্রকাশ পায় অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা। হাইকোর্টের কড়া নির্দেশ ছিল এই প্রার্থীরা যদি নিজের থেকে পদত্যাগ না করেন তবে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সূত্রের খবরে জানা যাচ্ছিল, শুরু হতে পারে চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়াও। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় আশঙ্কিত ছিলেন প্রার্থীরা। তবে সেই আশঙ্কাতেই এদিন চরম পদক্ষেপ নিলেন নন্দীগ্রামের শিক্ষিকা টুম্পারানি মন্ডল। অন্ততঃ এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।