২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ২০১৬ সালে যে প্রাথমিকের নিয়োগ হয়েছিল, তা নিয়ে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ সামনে আসে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নিয়োগ তালিকা সর্বসমক্ষে আনার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশ মেনে এবার সংশ্লিষ্ট তালিকা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
যে সমস্ত প্রার্থীরা ২০১৬ সালে প্রাথমিকের শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদের নাম, রোল নম্বর ও ক্যাটাগরি-সহ তাঁদের ব্রেক আপ নম্বরের তালিকাটি প্রকাশ করেছে পর্ষদ। জেলা ভিত্তিক তথ্য সম্বলিত এই তালিকাটি প্রকাশ করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (wbbpe.org) তে। এই তালিকা প্রকাশ্যে আসার পর আরও বড় বেনিয়মের অভিযোগ সামনে আসছে।
আরও পড়ুনঃ ডিভিশন বেঞ্চে থমকে গেল ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ
সূত্রের খবর, পর্ষদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এই তালিকা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে ট্যুইট করেছেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় যে সমস্ত প্রার্থীরা কাট অফ মার্কসের চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েও চাকরি পাননি তাঁরা এবার মামলা করবেন। ২০১৬ সালের প্রাথমিকের নিয়োগে অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়েছিল কিনা তা নিয়ে জল্পনা চলছে এখনও। তাছাড়া নম্বরের গড়মিল-সহ নিয়োগে বেনিয়মের একাধিক অভিযোগ বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি যে আরও ঘোরালো হচ্ছে তা ধারণা করাই যায়।