ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC)- এর প্রতিটি পরীক্ষাই অত্যন্ত কঠিন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে অক্লান্ত পরীশ্রম করতে হয় প্রার্থীদের। তবেই ধরা দেয় স্বপ্ন। ইউপিএসসির সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। দিন রাত এক করে পরিশ্রম করলে তবেই আসে কাঙ্খীত সাফল্য। আজ এমন একজনের কথা বলবো যিনি তার জীবনের যাবতীয় প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজ একজন সফল আইএএস অফিসার। তার স্বপ্নজয়ের কাহিনী অনুপ্রেরণা জোগাবে আগামী দিনের পরীক্ষার্থীদের।
তেলেঙ্গানার যুবক ডোংরে রেভাইয়াহ ২০২২ সালে আইএএস (IAS) অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তবে এই আইএএস হওয়ার জার্নিটা মোটেও সহজ ছিল না তাঁর জন্য। তেলেঙ্গানার একটি ছোট্ট শহরের এক দলিত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন তিনি। ডোংরের পড়াশোনা চলাকালীন সময়ে মারা যান তার বাবা। সে সময় প্রবল অর্থকষ্টের মুখে পড়ে তাদের পরিবার। দুবেলা খাওয়ার জোগাড় করাও কার্যত কঠিন হয়ে পড়ে সে সময়। এহেন প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও হাল ছাড়েননি অফিসার ডোংরে। চালিয়ে যান তার পড়াশোনা। অর্থসংস্থানের জন্য তেলেঙ্গানার একটি সরকারি স্কুলে রাধুনি হিসেবে যোগদান করেন তাঁর মা। অন্যদিকে মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে সাহায্যের প্রয়াস চালিয়ে যেতে থাকেন অফিসার ডোংরে। ভবিষ্যতে সফল হওয়ার জন্য চলে তার অক্লান্ত পরিশ্রম। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা ‘গেট’ -এ উত্তীর্ণ হয়ে আইআইটি মাদ্রাজে ভর্তি হন তিনি।
আরও পড়ুনঃ লেডি সিংঘাম মনজিল সাইনির সাফল্যের গল্প জেনে নিন
ইঞ্জিনিয়ারিং পাশের পর হায়দ্রাবাদের একটি নামী কোম্পানিতে মোটা অঙ্কের বেতনের চাকরি পেয়েছিলেন ডোংরে। তবে সেখানেই থামতে রাজি ছিলেন না তিনি। তাঁর লক্ষ্য ছিল আইএএস অফিসার হবেন। আর তাই ফের শুরু হল তাঁর পরীক্ষা প্রস্তুতি। দিন রাত এক করা পরিশ্রম শেষে ২০২২ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেন ডোংরে। ফল প্রকাশ হতে দেখা যায়, মেধাতালিকায় ৪১০ নম্বর স্থানে রয়েছেন তিনি। এহেন কঠিন পরীক্ষায় ছেলের উত্তীর্ণ হওয়ার খবরে খুশি ছড়ায় তাঁর পরিবারে। বর্তমানে তিনি আইএএস অফিসার রূপে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। জীবনের সমস্ত প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে জেদ, পরিশ্রম ও মানসিক দৃঢ়তায় পরিবারকে গর্বের মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন তিনি।