কলকাতায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে চাকরির দাবিতে ধর্ণায় বসেছেন রাজ্যের টেট চাকরিপ্রার্থীরা। তবে এদিন সোমবার গুরুনানক জয়ন্তীর অনুষ্ঠান উপলক্ষে তাঁদের ধর্ণা কর্মসূচি স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে। রবিবার ই-মেল মারফত জানানো হয়েছে বিষয়টি।
শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য। নিয়োগের দাবিতে ধর্ণায় বসেছেন রাজ্যের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। কলকাতায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে ধর্ণায় বসেছেন তাঁরা। এর আগে সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরের সামনে আমরণ অনশনের বসেছিলেন টেট চাকরিপ্রার্থীরা। তবে আন্দোলনের চারদিনের মাথায় পুলিশ কর্তৃক জোর করে ভেঙে দেওয়া হয় আন্দোলন। এরপর ফের মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে একজোট হয়ে ধর্ণায় বসেন চাকরিপ্রার্থীরা। তবে এদিন রবিবার কলকাতা পুলিশের তরফে তাঁদের জানানো হয়েছে, সোমবার গুরুনানক জয়ন্তী। সেই উপলক্ষ্যে ধর্মতলায় শহিদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
প্রাইমারি টেট বাংলা প্র্যাক্টিস সেট
প্রাইমারি টেট পরিবেশ বিদ্যা প্র্যাক্টিস সেট
প্রাইমারি টেট পেডাগজি প্র্যাক্টিস সেট
সূত্রের খবর, অনুষ্ঠানে আসার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির। তথাপি আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি চিন্তা করে আন্দোলনকারীদের এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা পুলিশ। ময়দান থানার পুলিশের তরফে রবিবার ই-মেল মারফত বিষয়টি জানানো হয় আন্দোলনকারীদের।
এই বিষয়ে আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, পুলিশি নির্দেশিকা অনুসারে এদিন ধর্ণায় বসা হবে কিনা তা নিয়ে বৈঠক করবেন আন্দোলনকারীরা। তারপরই গৃহীত হবে সিদ্ধান্ত। তবে এ বিষয়ে এখনই স্পষ্ট করে কিছু জানাচ্ছেন না তাঁরা।
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে দূর্গাপুজোর কার্নিভাল উপলক্ষে রেড রোডে টেট ও এস এস সি চাকরিপ্রার্থীদের ধর্ণা কর্মসূচি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয় কলকাতা পুলিশের তরফে। সেদিন গান্ধীমূর্তির পাদদেশে এস এস সি প্রার্থীদের আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ কর্মসূচির চূড়ান্ত দুর্নীতির জেরে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিরা জেলে। নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে রাজনৈতিক জটিলতাও তুঙ্গে। আদালতে বিচারাধীন একাধিক মামলা। এসবের মাঝেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এবছরের টেট পরীক্ষা। আগামী ১১ই ডিসেম্বর হবে টেট পরীক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, নিয়োগ করা হবে প্রায় এগারো হাজার শূন্যপদের জন্য।