সদ্য প্রকাশ পেয়েছে টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নম্বর তালিকা। ফের সেই তালিকা নিয়ে ঘনীভূত হলো রহস্য। দেখা যাচ্ছে টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ বিশিষ্ট রাজনীতিকদের নাম। এই তালিকায় মুখ্যমন্ত্রীর সাথে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় দের নাম দেখে কার্যত অবাক হওয়ার উপক্রম বিভিন্ন মহলের। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রকাশ পেয়েছে ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের নম্বর। তবে ২০১৪ সালের নম্বর প্রকাশ পাওয়ার পরেই এই তালিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহলে। দেখা যায়, নম্বর তালিকায় নম্বর, রোল নম্বর থাকলেও নেই অধিকাংশ প্রার্থীর নাম।
আবার একই সাথে প্রকাশ পাওয়া সংরক্ষিত শ্রেণীর ৮২ পাওয়া প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছে কেবলই নম্বর, রোল নম্বর ও ক্যাটাগরি। নাম নেই কোনোও প্রার্থীরই। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পরীক্ষার্থী থেকে সাধারণ মানুষ। নম্বরের সত্যতা নিয়ে যেমন প্রশ্ন আসে, তেমনই ওঠে নানান রাজনৈতিক তরজাও। তবে এবার ফের সেই তালিকা নিয়ে অবাক হওয়ার জোগাড়। টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকায় দেখা যাচ্ছে অংশগ্রহণকারী লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য রাজনীতিকদের নাম। রয়েছে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, সুজন চক্রবর্তী, অমিত শাহের মতো ওজনদার রাজনীতিকদের নাম। বিষয়টি কি নিছকই কাকতালীয় নাকি এর পিছনে রয়েছে কোনোও রহস্য, এ নিয়ে ক্রমশ ঘনীভূত ধোঁয়াশা।
আরও পড়ুনঃ প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় বড়ো পরিবর্তন
বিষয়টি নিয়ে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সাইবার হানা হয়ে থাকতে পারে। অথবা কেউ ওয়েবসাইট হ্যাক করে বাইরে থেকে নামগুলি তালিকায় যুক্ত করে থাকতে পারে। আবার এমনও হতে পারে পরীক্ষার্থীদের নামের সাথে সত্যিই মিল রয়েছে রাজনীতিকদের নামের। অর্থাৎ বিষয়টি সম্পূর্ণ কাকতালীয় হতে পারে বলেও দাবি করেছেন পর্ষদ সভাপতি। তবে তিনি এও বলেন ঘটনাটি কিভাবে ঘটলো তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত।