WBSSC Exam: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির ভুরি ভুরি নিদর্শন। যার কিছু নমুনা দেখলে রীতিমতো চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। এর আগে হাতে গোনা উত্তর দিয়ে পাশ করে যাওয়া প্রার্থীর সংখ্যা নেহাত কম ছিলনা। তবে পরীক্ষকের সই ছাড়াই পরীক্ষা দিয়ে বহাল তবিয়তে চাকরির দৃষ্টান্ত কার্যত এই প্রথম। সম্প্রতি এসএসসির তরফে প্রকাশিত ওএমআর শিটে এরকমই ঘটনা নজরে এসেছে। এক্ষেত্রে অভিযোগ উঠছে পূর্ব মেদিনীপুরের অরিন্দম সাঁতরা নামের এক অঙ্ক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ যেন অঙ্কই নেই অথচ তার হিসেব আছে!
সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ পায় অযোগ্য প্রার্থীদের ওএমআর শিট (উত্তরপত্র)। এই সকল প্রার্থীরা বেআইনিভাবে নিযুক্ত বলে জানা গিয়েছে। এরপরই সংশ্লিষ্ট ওএমআর শিটগুলির মধ্যে অরিন্দম সাঁতরা নামক এক প্রার্থীর ওএমআর শিট নজরে আসে। সেখানে উত্তরপত্রে সাক্ষরই নেই পরীক্ষকের! আদৌ তিনি পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন তো? জোরালো দাবি উঠছে এ বিষয়ে। যদিও ফাঁকা খাতার পরিবর্তে তাঁর খাতায় কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর রয়েছে। এতেই পেয়েছেন ৩৫! যা আদতে পাওয়ার কথাই নয়। আবার জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের একটি স্কুলে অঙ্ক শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন তিনি।
চাকরির খবরঃ
রাজ্যে মাধ্যমিক পাশে মাল্টি টাস্কিং স্টাফ নিয়োগ
IRCTC -এর মাধ্যমে রাজ্যে নিয়োগ
রাজ্যের স্কুলে শিক্ষক ও হেল্পার নিয়োগ
শুধু তাই নয় অরিন্দম সাঁতরার আবেদনপত্রে উল্লেখই নেই তাঁর গ্র্যাজুয়েশনের নম্বর! সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে মেদিনীপুরের অঙ্ক স্যারকে প্রশ্ন করা হলে সঠিকভাবে কোনোও উত্তর দেননি তিনি। তবে ঘটনাটি নিয়ে কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। উঠছে নানান রাজনৈতিক তরজাও। পরীক্ষকের সই ছাড়া কিভাবে হলো পরীক্ষা? আবার পরীক্ষা হলেও প্রার্থী উপস্থিত ছিল তো! বিতর্কের সৃষ্টি এসব নিয়েও। সাথে এইভাবে নিয়োগ পাওয়া একজন প্রার্থী কিভাবে এতদিন ধরে চাকরি করেন? তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।