লেনদেনের জন্য টাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই লেনদেনের জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরণের নোট রয়েছে। ভারতে বিভিন্ন নোট রয়েছে, যেগুলির মূল্য বিভিন্ন। নোটগুলি একটু ভালো করে লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে যে এগুলির পিছনে বিভিন্ন নক্সা বা ছবি দেওয়া থাকে। তবে অনেকেই জানেন না সেই ছবিগুলি কিসের? জানেন কি ৫০ টাকার নোটের পিছনে কিসের ছবি আছে ? চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
৫০ টাকার নতুন নোটে কিসের ছবি থাকে?
প্রসঙ্গত, বাজারে এই মুহুর্তে দুই ধরণের ৫০ টাকার নোট চালু হয়েছে। একটি নোট পুরানো অন্যটি নতুন। নোটবন্দির পর ২০১৭ সালে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক এই নতুন ৫০ টাকার নোট বাজারে আনে। বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছিল এই নতুন নোটে। সাইজ, রং সেইসঙ্গে মোটিফ পুরোপুরি পাল্টে ফেলা হয়।
নতুন ৫০ টাকার নোটের ব্যাপারে কিছু অজানা তথ্য:
- এই নোট লম্বায় ১৩৫ মিমি এবং চওড়ায় ৫০ মিমির হয়ে থাকে।
- এই নোটের সামনের দিকে ৫০ কথাটি সংস্কৃত হরফে লেখা আছে।
- নোটের বেস কালার ফ্লুরোসেন্ট ব্লু।
- পেছনের বাঁ দিকে নোটটি কোন সালে ছাপা তা লেখা আছে।
- সিকিউরিটি ফিচার্স হিসেবে নোটটিতে আছে অণু চিত্র, ওয়াটারমার্ক, সুপ্ত চিত্র।
আরও পড়ুনঃ ২ হাজার টাকার নোট বাতিল হওয়ার অবিশ্বাস্য কারণ
- সম্পূর্ণ নোটটিতে আছে ইন্টাগ্লিও প্রিন্ট এবং মাইক্রো-লেটারিং।
- পুরো নোটটি ছাপা হয়েছে ফ্লুরোসেন্ট কালির মাধ্যমে।
- মাইক্রো-লেটারিং -এর মাধ্যমে নোটটিতে ইংরেজি হরফে RBI, INDIA, 50 এবং দেবনাগরী হরফে ‘भारत’ কথাটি লেখা হয়েছে।
- নোটটিতে দৃশ্যমান মহাত্মা গান্ধীর ছবিটি আঁকা হয়েছে অসংখ্য ইলেক্ট্রোটাইপ অণু চিত্রের মাধ্যমে।
- নোটটির সিরিয়াল নাম্বারিং করা হয়েছে ছোট থেকে বড় আকারে।
আরও পড়ুনঃ সদ্য প্রকাশিত ৭৫ টাকার কয়েন কোথায় পাওয়া যাবে?
এবার আসা যাক নোটের পিছনে থাকা ছবি নিয়ে। নতুন ৫০ টাকার নোটের মোটিফ বা থিম হলো হাম্পির রথ। হাম্পির বিট্টালা মন্দিরে প্রবেশ করলেই চোখে পড়ে এই অতি সুন্দর পাথরের রথ। এর মাধ্যমে দেশের ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়েছে। কর্ণাটকে অবস্থিত, হাম্পি শহরে প্রায় ২৫০টি প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভ এবং মন্দির রয়েছে। ১৫০০ খ্রিস্টাব্দে, হাম্পি ছিল বিজয়নগর সাম্রাজ্যের রাজধানী। ১৯৮৬ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক ভারতের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল হাম্পি শহরকে।