অবশেষে চাকরির খরা কাটল রাজ্যের উচ্চ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের জন্য। দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকা মামলার অন্তিম রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায়েই স্পষ্ট হয়ে গেল উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের বিষয়টি। চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের দায়ের করা মামলায় কোনও হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট। উচ্চ প্রাথমিকের মোট ১৪,০৫২ টি শূন্যপদের নিয়োগের জন্য জাতি গত সংরক্ষণ এবং ইন্টারভিউ সংক্রান্ত সমস্যার কথা উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল নতুন মামলা। এসএসসির এই নিয়োগের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল কাউন্সিলিং -এর সময় সংরক্ষণ নীতি মানা হয়নি। মামলা চলাকালীন তপশিলি জাতি এবং জনজাতিদের সংরক্ষণ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল হাইকোর্টে। মহিলাদের সংরক্ষণ নিয়েও ত্রুটি ছিল বলে আদালতে জানিয়েছিলেন মামলাকারীদের আইনজীবী।
এদিন মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলা উঠলে রাজ্য সরকারের আইনজীবী কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় উল্লেখ করেন, “যেখানে দেখা গিয়েছে অধিকাংশ নিয়োগ প্রক্রিয়াই বন্ধ থেকেছে হাই কোর্টের নির্দেশে। সেখানে প্রায় এক যুগ পর কলকাতা হাই কোর্ট উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ করতে নির্দেশ দিয়েছে।” রাজ্য সরকারের অনীনজীবীর সম্পূর্ণ বক্তব্য শোনার পর সুপ্রিম কোর্ট এই মামলাটি খারিজ করার নির্দেশ দেয় এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার পক্ষে মন্তব্য জানায়। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর উচ্চ প্রাথমিকের সংশ্লিষ্ট নিয়োগের ক্ষেত্রে আর তেমন কোনো বাধা থাকল না।
চাকরির খবরঃ এইট পাশে গ্ৰুপ- ডি সহ বিভিন্ন পদে কর্মী নিয়োগ করছে রাজ্য সরকার
উল্লেখ্য, এই নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাটি দীর্ঘদিন হাইকোর্টে পেন্ডিং থাকার পর গত ২৮ আগস্ট বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়েছিল উচ্চ প্রাথমিকে নতুন করে মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল নতুন মামলা। উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের সেই মামলায় হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে মেধা তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনো বাধা রইল না স্কুল সার্ভিস কমিশনের। কমিশনের অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বুধবার এই নিয়োগ সংক্রান্ত মেধা তালিকা প্রকাশ করবে এসএসসি। সেক্ষেত্রে পূজোর আগেই নিয়োগ পেতে পারেন প্রার্থীরা।