সম্প্রতি বাঁকুড়া জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের গণিত ও ইংরেজি পড়ানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় সিভিক ভলান্টিয়ারদের। বুধবার এই সিদ্ধান্তের কথা সামনে আসতেই তুমুল শোরগোল শুরু হয় বিভিন্ন মহলে। এহেন বিতর্কের বাতাবরণে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানালেন, আপাতত স্থগিত হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রাথমিক স্কুলে পড়ানোর সিদ্ধান্ত।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, বাঁকুড়া পুলিশের এই সিদ্ধান্তে অনুমোদন ছিল না শিক্ষা দফতরের। সিদ্ধান্তটি স্থানীয় স্তরে নেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে এই সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে। তবে শিক্ষা দফতরকে অন্ধকারে রেখে কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন এসপি? উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন তিনি জানেন না। এর সাথে এদিন শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, আগামীদিনে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হতে পারে। বিভাগীয় সচিব তাঁদের কাছে অনুমতি চাওয়ার জন্য বলেছেন। আবেদন পাঠানো হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের কাছেও। পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিলে এ বিষয়ে ভাবনাচিন্তা হবে। একইসাথে শিক্ষামন্ত্রীর সংযোজন, সিভিক ভলান্টিয়াররা পড়াতে পারবেন কি পারবেন না তার সিদ্ধান্তও পর্ষদ নেবে।
চাকরির খবরঃ ২৯২২ শূন্যপদে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে নিয়োগ
প্রসঙ্গত, বুধবার বাঁকুড়া জেলা পুলিশের তরফে ‘অঙ্কুর’ প্রকল্পের বিষয়ে জানানো হয়। যেখানে জঙ্গলমহলের পাঁচটি থানা এলাকার একটি করে স্কুল ও অন্যান্য থানা এলাকা মিলিয়ে মোট ১২৪টি স্কুলকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে স্কুল শেষের পর অতিরিক্ত সময়ে পড়ুয়াদের ক্লাস নেওয়ার কথা হয়। সে উদ্দেশ্যে বেছে নেওয়া হয় বেশ কিছু জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে। যদিও প্রকল্পের ঘোষণা হতেই তীব্র নিন্দার ঝড় ওঠে। রাজ্যের স্কুলে শিক্ষক অভাব সহ নিয়োগ দুর্নীতির দিকে আঙুল তোলেন বিভিন্ন ব্যক্তিত্বরা। আর এবার সিদ্ধান্ত স্থগিত হতে ‘চাপের মুখে সিদ্ধান্তে বদল’ বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।