২০১১ সালে রাজ্যের তৎকালীন সরকার নির্বাচিত হওয়ার পর স্টাফ সিলেকশন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে সরকারি দপ্তরে কর্মী নিয়োগের দেরি হওয়ার অভিযোগ তুলে নতুন কমিশন গঠন করেছিল রাজ্য সরকার। তৎকালীন সময়ে ‘গ্রুপ- বি’ এবং ‘গ্রুপ- সি’ পদে কর্মী নিয়োগ করার জন্য পরীক্ষা নিতে শুরু করে স্টাফ সিলেকশন কমিশন। বিভিন্ন দপ্তরে ক্লার্ক নিয়োগের জন্য একবার ক্লার্কশিপ পরীক্ষাও আয়োজন করেছিল স্টাফ সিলেকশন কমিশন। কিন্তু এর পরবর্তী সময়ে এসএসসি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। ক্লার্ক নিয়োগের দায়িত্ব একবার ফের দেওয়া হয় পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে। অন্যদিকে ‘গ্রুপ- ডি’ কর্মী নিয়োগের জন্য গঠন করা হয়েছিল পৃথক ‘গ্রুপ- ডি’ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ব্যাপক সংখ্যায় ‘গ্রুপ- ডি’ কর্মী নিয়োগের জন্য এই ব্যবস্থা চালু করা হলেও পরবর্তী সময়ে ‘গ্রুপ- ডি নিয়োগের বোর্ড তুলে দেওয়া হয়।
বর্তমানে ২০২২ সালে রাজ্য বিধানসভায় একটি সংশোধনী বিল পাস করায় রাজ্য সরকার। গত বছর ওই বিলের ভিত্তিতে এসএসসি আইনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। স্টাফ সিলেকশন কমিশনের চেয়ারম্যান পদে সদ্য নিয়োগ করা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস আধিকারিক বিবেক সহায়কে। চেয়ারম্যান পদ পূরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারি অফিসে স্থায়ী কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। নবগঠিত এই কমিশনের মাধ্যমে ‘গ্রুপ- সি’ এবং ‘ডি’ পদে কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলতি বছরে শুরু করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে রাজ্য সরকারের দুটি শ্রেণীর কর্মী মিলিয়ে অন্তত ১২ হাজার কর্মী নিয়োগ হতে পারে চলতি বছরে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াগুলি দ্রুত শুরু করার জন্য নবগঠিত কমিশনে সর্বাধিক ছ’জন সদস্য রাখার কথা বলা হয়েছে। কলকাতার নিউটাউনের একটি অফিস থেকে নবগঠিত স্টাফ সিলেকশন কমিশনের সমস্ত কাজ পরিচালনা হওয়ার কথা জানা যাচ্ছে।
চাকরির খবরঃ রাজ্যের শিশু সুরক্ষা দপ্তরে কর্মী নিয়োগ
প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, ‘গ্রুপ- ডি’ পদে ৮ হাজারের কিছু বেশি কর্মী নিয়োগ করা হতে পারে প্রথম পর্যায়ে। ‘গ্রুপ- সি’ পদে নেওয়া হতে পারে ৩ থেকে ৪ হাজারের কাছাকাছি কর্মী। এরজন্য শীঘ্রই পরীক্ষার আয়োজন করবে এসএসসি। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তৈরি করা কয়েকশো নতুন পদেও কর্মী নিয়োগ করবে এসএসসি। ‘গ্রুপ- সি’ পদের ক্ষেত্রে মূলত লোয়ার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে কর্মী নিয়োগ করা হবে। সংশ্লিষ্ট নিয়োগের পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে প্রাথমিক একটি খসড়া তৈরি করেছে কমিশন। লিখিত পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউর মাধ্যমেই যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে। লোয়ার ডিভিসান অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগের ক্ষেত্রে কম্পিউটারে লিখিত পরীক্ষা আয়োজিত হবে। প্রিলিমিনারি এবং মেইন লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে একই সঙ্গে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মেইন পরীক্ষার উত্তরপত্র দেখা হবে। এরপর উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ইন্টারভিউ আয়োজন করা হবে।