রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে জটিলতা চলছে। ২০১৬ সালের প্রাইমারি টেটের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। এই ইন্টারভিউর মাধ্যমে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের ঘিরেও সৃষ্টি হয়েছে বিতর্কের। আদালতে দায়ের হয়েছে মামলা। এ প্রসঙ্গে এবার পদক্ষেপ নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০১৬ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোথায়, কারা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন সে বিষয়ের বিস্তারিত তথ্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলির কাছ থেকে চেয়ে পাঠালো প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
বিগত বছরগুলিতে মূলত দুবার প্রাইমারি টেটের ইন্টারভিউ আয়োজিত হয়েছিল। একবার ২০১৬ সালে ও তারপর ২০২১ এ। এর মধ্যে ২০১৬ সালের ইন্টারভিউ নিয়ে শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছে বহু প্রার্থীকে। ইতিমধ্যে অভিযোগ উঠেছে, সে বছরের ইন্টারভিউতে কোনোও অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়নি! আর অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই পুরো নম্বর পেয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে প্রার্থীদের। আবার এক চাকরিপ্রার্থীর দাবি, শ্রেণীকক্ষের পরিবর্তে বারান্দায় নেওয়া হয়েছিল ইন্টারভিউ। এ বিষয়ে সমস্ত অভিযোগ শুনে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ২০১৬ সালের ইন্টারভিউ সম্পর্কিত তথ্য খতিয়ে দেখে রিপোর্ট পেশ করতে হবে পর্ষদকে।
চাকরির খবরঃ বর্তমানে কি কি চাকরির ফর্ম ফিলাপ চলছে
সূত্রের খবর, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই এবার পর্ষদের নির্দেশ, ২০১৬ সালের প্রাথমিকের ইন্টারভিউ নেওয়া ব্যক্তিদের টেলিফোন নম্বর সহ সবিস্তারে তথ্য আগামী ৩০শে জানুয়ারির মধ্যে পাঠাতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। বর্তমান পরিস্থিতির সাপেক্ষে পর্ষদের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে যে বেশ কিছু তথ্যের খোলসা হবে তা ইতিমধ্যে ধারণা করছে বিভিন্ন মহল।