শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে সারা রাজ্য তোলপাড়। একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ও তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রমাণ সংগ্রহে নেমেছেন তদন্তকারীরা। ২০১৬ সালের প্রাইমারি টেট ইন্টারভিউ নিয়ে এর আগেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রে নম্বর বিকৃতির মতো এবার টেট ইন্টারভিউতেও জালিয়াতি হয়েছে কিনা এখন তার খোঁজেই জোরদার তদন্ত ইডির।
সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সন্দেহ, সেবারের প্রাইমারি টেটের ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্টে নম্বর দেওয়ার সময় ইন্টারভিউ বোর্ডের কোনোও কোনোও সদস্য হয়তো পেনসিল ব্যবহার করেছিলেন। যার দরুন পরীক্ষায় দেওয়া নম্বর পরে ইচ্ছেমতো পরিবর্তন করা হয়। আর এভাবেই জালিয়াতির মাধ্যমে অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। গোটা ঘটনাটির পিছনে টাকা পয়সার লেনদেন থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই অনুমান অনুসারে সে বছরের ইন্টারভিউতে সত্যিই পেনসিল ব্যবহার হয়েছিল কিনা তার খোঁজে নেমেছেন তদন্তকারীরা। ইডির সন্দেহ, অ্যাপটিটিউড টেস্ট ও ইন্টারভিউ উভয় ক্ষেত্রেই গরমিল হয়ে থাকতে পারে। সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে সেবছরের ইন্টারভিউতে থাকা প্রার্থীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
চাকরির খবরঃ রাজ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পে কর্মী নিয়োগ
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৬ সালে টেট ইন্টারভিউতে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের দাবি ছিল, সেবার প্রাইমারি টেট ইন্টারভিউতে কোনোও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়াই হয়নি। উল্টে রুমের পরিবর্তে বারান্দায় নেওয়া হয় ইন্টারভিউ। চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদকে বিস্তারিত হলফনামা জমা দিতে বলেন। মামলার শুনানিতে পর্ষদের হলফনামা দেখে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ২০১৬ তে কোনোও অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়নি। এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজ্যের পাঁচ জেলার ইন্টারভিউয়ারদের আগামী ২১শে ফেব্রুয়ারি তলব করা হয়েছে।