অকল্পনীয় দুর্নীতি হয়েছে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে। সাম্প্রতিক অতীতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইকে পশ্চিমবঙ্গের টেট দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলো। এদিন সিবিআই টেট সংক্রান্ত তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় কলকাতা হাইকোর্টে। একটি মুখবন্ধ খামে সম্পূর্ন তদন্ত রিপোর্ট পেশ করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। সেই সঙ্গে সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী, বিচারপতিকে আরোও জানিয়েছেন যে, টেটের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগে কি হারে দুর্নীতি হয়েছে, তা জানলে সাধারণ মানুষের হুঁশ উড়ে যাবে, শিউরে উঠবেন তারা।
এদিন কোর্টে জমা করা রিপোর্টে কি বর্ণিত আছে সে সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু বলেনি সিবিআই। কিন্তু কিছু কিছু কথা যখন প্রকাশ্যে বলে তখন বিচারপতি বিস্মিত হয়ে যান। এত দুর্নীতি হয়েছে শিক্ষক নিয়োগে তা অনুমান করাই যায়না। এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আদালতকে জানিয়েছে রাজ্যে এমন অনেকে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছে , যারা আসলে টেট পরীক্ষাতেই বসেনি। কারন, তাদের আবেদন পত্রের কোনোরূপ হদিশ নাই। বিনা পরীক্ষায় কোন যাদুবলে নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছে তারা? এর পিছনে কাদের অদৃশ্য হাত রয়েছে? এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে সিবিআইকে।
আরও পড়ুনঃ পূজোর আগেই গ্রুপ-সি গ্রুপ- ডি পদে নিয়োগ
এইজন্য তদন্তের একদম চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেও একেবারে সম্পূর্ণ রিপোর্ট পেশ করতে পারেনি সিবিআই। তাদের বক্তব্য, আরোও কিছুদিন সময় প্রয়োজন। এই দুর্নীতির একদম মূল পর্যন্ত যেতে চান তারা। আপাতত, সুনির্দিষ্ট পথেই তদন্ত এগোচ্ছে। দুর্নীতি যে হয়েছে তা তো স্পষ্ট। এবার দুর্নীতির মাথাগুলোকে ধরা দরকার। সেইজন্য রাজ্যের শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে যুক্ত বহুজনকে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। এদের মধ্যে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অন্যতম। এইভাবে যে দুর্নীতি হয়েছে তার কথা শুনে বিচারপতি একে “বিস্ময়কর” বলে বর্ণনা করেছেন। আগামী ৪ নভেম্বর এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।