সম্প্রতি স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ঐতিহাসিক রায়দান করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগের ২০১৬ সালের প্যানেলের প্রায় ২৫ হাজার চাকরিপ্রার্থীর চাকরি বাতিল করা হয়েছে এই রায়ের মাধ্যমে। এরপরেই প্রাইমারি TET নিয়ে নতুন একটি বিভ্রান্তি সামনে এল। প্রশ্ন ভুল মামলায় এদিন বড় আপডেট উঠে এল কলকাতা হাইকোর্ট থেকে। ২০১৪ টেট পরীক্ষার পুনরাবৃত্তি ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষাতে। ২১ টি প্রশ্নের উত্তর বিতর্কে মান্যতা দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই সমস্ত প্রশ্নগুলির সঠিক উত্তর জানার জন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটির দ্বারস্থ হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্ট।
অতীতে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় ৬ টি প্রশ্ন ভুল বলে রিপোর্ট দেয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেবার সমস্ত পরীক্ষার্থীকে ওই প্রশ্নগুলির উত্তরের নম্বর দেওয়া হয়েছিল। এবার ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষায় প্রশ্ন ভুলের মামলায় বিশ্বভারতী কি রিপোর্ট দেয় তার ওপর ভিত্তি করে ভাগ্য নির্ধারণ হবে প্রাথমিক শিক্ষক চাকরিপ্রার্থীদের। এক মাসের মধ্যে ২১ টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানাতে বিশ্বভারতীর বিশেষজ্ঞ কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এক মাসের মাসের মধ্যে সমস্ত প্রশ্ন সঠিকভাবে যাচাই করে সঠিক উত্তর দিয়ে রিপোর্ট পেশ করবেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
আরও পড়ুনঃ বাংলার চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ১ লক্ষ কর্মসংস্থানের আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিন বুধবার বিচারপতি মান্থার এজলাসে মামলার শুনানি চলার সময় প্রশ্ন ভুলের অভিযোগ যাচাই করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই বিষয়ে পূর্বের মতো প্রশ্নগুলি যাচাই করার দায়িত্ব দেওয়া হয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটিকে। মূলত বাংলা এবং পরিবেশবিদ্যা সহ মোট তিনটি বিষয়ের প্রশ্নে ভুল থাকার অভিযোগ করা হয়েছে। প্রশ্নে নির্দিষ্ট ভুলগুলি প্রথমে চিহ্নিত করা হবে তারপর পরীক্ষার্থীদের উত্তর মিলিয়ে নেওয়া হবে। এরপরেই পর্ষদ যে প্রশ্ন তৈরি করেছিল তার উত্তর ও বিশেষজ্ঞদের উত্তর মিলিয়ে দেখা হবে। এর আগে বিচারপতি মানথা মামলাকারীদের আবেদন শুনে অসন্তোষের সুরেই বলেছিলেন, “একটি প্রশ্নপত্রে এত ভুল থাকে কি করে? পরীক্ষার্থীরা কি আইনস্টাইন হয়ে ভুল প্রশ্ন আবিষ্কার করে সঠিক জবাব দেবে?”