পশ্চিমবঙ্গের চাকরিপ্রার্থী তরুণ-তরুণীদের জন্য খুশির খবর। অবশেষে জটিলতা কাটিয়ে নিয়োগ সম্পন্ন হতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষক পদে। সূত্রের খবর, ১১,৭৬৫ শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জটিলতা কাটতে চলেছে এবার। সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়বে নিয়োগ প্যানেল। পর্ষদের তরফে আশ্বাস, সুপ্রিম কোর্ট নিয়োগ প্যানেলে ছাড়পত্র দেবে। আর তারপরেই শূন্যপদে নিয়োগ পাবেন যোগ্য প্রার্থীরা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে এও জানানো হয়েছে, শীঘ্রই রাজ্যের স্কুলগুলিতে নতুন শিক্ষকেরা আসতে চলেছেন।
রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি মামলার মোড় ঘোরে ২০২২ সালের প্রাইমারি টেটের আগেই। গ্রেফতার হন তৎকালীন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারের পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি হন গৌতম পাল মহাশয়। দায়িত্বে আসার পরই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া আরম্ভ করেন তিনি। জানা যায়, এগারো হাজারের বেশি শূন্যপদ পূরণ হতে চলেছে সংশ্লিষ্ট নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। এরপর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া কাউন্সিলিং ও ইন্টারভিউ পর্যন্তও এগোয়। কিন্তু হঠাৎ করেই আইনি জটের কারণে মাঝপথে থমকে যায় সংশ্লিষ্ট শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ। বলা হয়, আদালত থেকে ছাড়পত্র মিললে তবেই শূন্যপদে নিয়োগ করতে পারবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। নিয়োগ মাঝপথে থমকে যাওয়ায় অন্দরে অসন্তোষ যার কারণে আন্দোলন কর্মসূচি নেন চাকরিপ্রার্থীরা। এখন পর্ষদের কথামতো সুপ্রিম নির্দেশের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরাও।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের মামলা শুনতে পারবে না কলকাতা হাইকোর্ট
শীর্ষ আদালতের ছাড়পত্রের উপরেই এখন শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নির্ভর করে রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট যে এবার নিয়োগে অনুমতি দেবে তা নিয়ে আশাবাদী খোদ পর্ষদ সভাপতি। ইতোমধ্যে পর্ষদের দফতরে চলছে তুমুল ব্যস্ততা। আইনি জটিলতার কারণে নির্বাচিত চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগপত্র পাননি। এবার তাঁদের হাতে তা তুলে দিতে পারবে বলেই আশ্বাস পর্ষদের তরফে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, ১১,৭৬৫ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া এখন কেবলই সময়ের অপেক্ষা। নিয়োগ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট কী বলে এখন সে দিকে তাকিয়েই অপেক্ষায় রয়েছেন সকলে। অন্যদিকে, নিয়োগ দ্রুত করার দাবি তুলেছেন ২০২২ সালের টেট পাশ প্রার্থীরাও। পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন, আগের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলেই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মূলত, আগের শিক্ষক নিয়োগ শেষ হলেই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার দরজা খুলে যাবে। চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, বছর বছর টেটের ফলে উত্তীর্ণ প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু নিয়োগে আশার আলো দেখা যাচ্ছে কই! কিন্তু এবার যে একটা ফয়সালা হতে চলেছে তা মনে করছেন বিশেষজ্ঞরাও। তবে সবটাই নির্ভর করছে শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তের উপর।