দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে নতুন খবর এলো পশ্চিমবঙ্গের টেট পরীক্ষার্থীদের জন্য। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে রাজ্যের পরিস্থিতি উত্তাল হয়েছে কিন্তু এখনো পর্যন্ত স্থায়ী সুরাহা পাওয়া যায়নি। এদিকে প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে কবে নিয়োগ হবে সেই আশায় বসে আছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এই পরিস্থিতির মধ্যেই দীর্ঘ ছয় মাস আগে প্রাথমিক টেট পরীক্ষা বা টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট নেওয়া হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে। সেই পরীক্ষার ফলাফল কবে প্রকাশ করা হবে সেই বিষয় নিয়ে উৎকণ্ঠায় দিন গুণছেন পরীক্ষার্থীরা। এই বিষয় সংক্রান্ত নতুন আপডেট উঠে আসায় এবার কিছুটা আশার আলো দেখছেন পরীক্ষার্থীরা।
২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে টেট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে গিয়েছিল। গত বছরের পরীক্ষার জন্য মোট ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন পরীক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করা সত্ত্বেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন মাত্র ২ লক্ষ ৭২ হাজার জন পরীক্ষার্থী। ২০২২ সালে যেখানে টেট পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা ছিল প্রায়৬ লক্ষের কাছাকাছি। তবে ২০২৩ সালের টেট পরীক্ষায় কেবলমাত্র ডিএলএড উত্তীর্ণরাই পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন তাই পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশ কিছুটা কমে গিয়েছে বলে অনুমান করা হয়েছিল। বিগত ২০২৩ সালের টেট পরীক্ষার রেজাল্ট জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ প্রকাশ পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি এমনই ইঙ্গিত মিলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুনঃ উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা কবে হবে?
গত ৭ই মে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে টেট পরীক্ষার অ্যানসার কি প্রকাশ করা হয়েছিল। ১০ই মে থেকে ৯ই জুন মধ্যরাত পর্যন্ত এই উত্তরপত্রকে চ্যালেঞ্জে চালানোর সুযোগ ছিল পরীক্ষার্থীদের হাতে। চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের আগে এই পদক্ষেপ কে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। যেহেতু উত্তরপত্রকে চ্যালেঞ্জ জানানোর সময় দীর্ঘদিন আগে অতিক্রান্ত হয়েছে সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এবার জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রাথমিকের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। এই প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ফলাফল প্রকাশের সমস্ত প্রস্তুতি শেষের মাথায় চলে এসেছে। খুব শীঘ্রই পর্ষদের পক্ষ থেকে ফলাফল প্রকাশের অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।