এবার থেকে প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা (টেট) -এ অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন উচ্চপ্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষকরাও। এদিন আবেদনের আর্জি সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা চলাকালীন এই রায় দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রাথমিকের প্যারাটিচাররা সুযোগ পেলেও উচ্চপ্রাথমিকের প্যারাটিচারদের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য ছিলনা। তবে এবার থেকে আবেদনের সুযোগ পাবেন তাঁরাও।
রাজ্যে অনুষ্ঠিত হতে চলা টেট পরীক্ষায় কারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন ও কারা পারবেন না তা নিয়ে নানা সময়ে বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পর্ষদ। পরিবর্তন আনা হয়েছে যোগ্যতামান এও। কখনও বি-এড, ডি-এল-এড কোর্সে ভর্তি হলেই পরীক্ষার আবেদনে সম্মতি তো কখনও বি-এড পাশে ৫০ শতাংশ নম্বর প্রাপ্যতায় আবেদন যোগ্যতা বৃদ্ধি। এছাড়াও একাধিক সিদ্ধান্ত কার্যকর ও বদল করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে।
চাকরির খবরঃ মাধ্যমিক পাশে সেরা ১০ টি চাকরির খবর
এর আগে টেট পরীক্ষায় প্রাথমিকের প্যারাটিচাররাই আবেদনযোগ্য ছিল। তবে এদিন সোমবার একটি মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি এই মর্মে রায় দিলেন যে, এবার থেকে টেটে বসার সুযোগ পাবেন উচ্চ প্রাথমিকের প্যারাটিচাররাও। প্রসঙ্গত, বর্তমানে প্রাইমারি টেটের আবেদনের সময়সীমা পেরিয়ে গেছে। এর আগে পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে টেটের আবেদন সময়সীমা কয়েকদিন বাড়ানো হয়। তাই ফের যদি নতুন করে আবেদনের সময় বৃদ্ধি না হয়, তবে হাইকোর্টের এই নির্দেশ কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে ধন্দে চাকরিপ্রার্থীরা।
সূত্রের খবর, এবছরের টেটে আবেদন সংখ্যা প্রায় সাত লক্ষ জমা পড়ার পরেও হাইকোর্টের নির্দেশে ফের বাড়ানো হয় আবেদনের সময়সীমা। ফলে আবেদন সংখ্যা আবারও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। এছাড়া বারংবার আবেদনযোগ্যতা পরিবর্তিত হওয়ায় তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন পরীক্ষার্থীরা। এদিকে ডিসেম্বরের ১১ তারিখ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে প্রাইমারি টেট পরীক্ষা। যেহেতু পর্ষদের তরফে ঘোষিত হওয়া মোট শূন্যপদের সংখ্যা ১১ হাজার ৭৬৫ টি সেহেতু এই বিপুল সংক্ষক পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে ‘পরীক্ষার’ প্রতিযোগিতা যে ক্রমশ কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে তা বলাই বাহুল্য।