উচ্চ প্রাথমিকের ১৪ হাজার শূন্যপদে হচ্ছে না নিয়োগ! কয়েক সপ্তাহ আগেই উচ্চ প্রাথমিকের ১৪ হাজার শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের রায় দান করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দিষ্ট মামলার ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের রায়দানের পরেও সংশ্লিষ্ট শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি। এই নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন চাকরিপ্রার্থীরা। ঠিক কি কারনে নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনো শুরু করা যায়নি সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হলো আজকের প্রতিবেদনে। উল্লেখ্য ২০১৫ সাল থেকে উচ্চ প্রাথমিকের এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বিভিন্ন কারণে স্থগিত রয়েছে। ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিল করেছিল উচ্চ আদালত। এরপর ২০২৩ সালে প্যানেল প্রকাশ করার অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেক্ষেত্রে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, প্যানেল প্রকাশ করা যেতে পারে তবে কাউকে নিয়োগের সুপারিশ করতে পারবে না এসএসসি। মামলাটির বেঞ্চ চেঞ্জ হওয়ার পর গত ১৮ জুলাই ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল। যার রায় ঘোষণা করা হয়েছিল ২৮ আগস্ট তারিখে।
গত ২৮ আগস্ট বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়েছিল উচ্চ প্রাথমিকে নতুন করে মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। নতুন মেধা তালিকার ভিত্তিতে কাউন্সিলিং করার পর যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করতে হবে। দীর্ঘ ৮ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও উচ্চ প্রাথমিকের এই ১৪ হাজার শূন্যপদে এখনো নিয়োগ শুরু হলো না। হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এবার সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হলো নতুন মামলা। হাইকোর্টের এই রায়কে সংরক্ষণ নীতির বিরোধী দাবি করে সুপ্রিমকোর্টে নতুন মামলা দায়ের করেছেন রাজীব ব্রহ্ম সহ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। এরফলেই আবার বাধার মুখ পড়ল উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ। ২৮ আগস্ট নিয়োগের রায়দান হলেও সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়টি সম্পর্কে কোনো নির্দেশ দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। এখানেই তৈরী হয়েছে নতুন জটিলতা।
আরও পড়ুনঃ মহিলাদের জন্য ব্যাঙ্কে চাকরির বিরাট সুযোগ
উচ্চ প্রাথমিকের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক ত্রুটির কথা উল্লেখ করে হাইকোর্টে দায়ের করা হয়েছিল মামলা। সংশ্লিষ্ট মামলার অভিযোগের বিভিন্ন দিকগুলি খতিয়ে দেখে ১৪ হাজার প্রার্থীর কাউন্সিলিং এবং নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এসএসসির এই নিয়োগের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল কাউন্সিলিং -এর সময় সংরক্ষণ নীতি মানা হয়নি। মামলা চলাকালীন তপশিলি জাতি এবং জনজাতিদের সংরক্ষণ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল হাইকোর্টে। মহিলাদের সংরক্ষণ নিয়েও ত্রুটি ছিল বলে আদালতে জানিয়েছিলেন মামলাকারীদের আইনজীবী। দীর্ঘ ৮ বছর ঝুলে থাকার পর অবশেষে উচ্চ প্রাথমিকের এই ১৪ হাজার শুন্য পদে নিয়োগের জন্য নতুন মেধা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এবার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হওয়ার পরে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন চাকরিপ্রার্থীরা।