হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। অভিযোগ, এই সকল প্রার্থীরা উপযুক্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন না। এছাড়া, টেট ইন্টারভিউতে অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়েছিল কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। আর এবার সংশ্লিষ্ট প্রসঙ্গে মুখ খুললেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।
সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে পর্ষদ সভাপতি বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষকদের চাকরি করার যোগ্যতামান রয়েছে। তাই তাঁদের চাকরি গেলে হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না পর্ষদ। গৌতম পাল বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষকরা কেউ অপ্রশিক্ষিত নেই। ২০১৯ সালের মধ্যে তাঁদের প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হয়েছে। বোর্ডের তরফে তাঁদের সকলকেই দুরশিক্ষার মাধ্যমে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। পর্ষদ সভাপতির বক্তব্য, বোর্ড আইনি পরামর্শ নিতে চলেছে। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন জানানো হবে।
আরও পড়ুনঃ ‘পর্ষদ শিক্ষকদের পাশেই থাকবে!’
পাশাপাশি, অ্যাপটিটিউড টেস্ট প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি বলেন রেকর্ড মোতাবেক প্রত্যেক প্রার্থীর অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়েছিল। তাঁরা সবাই নম্বর পেয়েছেন। এবার, কে নম্বর বেশি পেয়েছেন আর কে কম পেয়েছেন তা দেখার কথা নয় পর্ষদের। এই দায়িত্ব বর্তায় সেই বিশেষজ্ঞের উপর যিনি পরীক্ষা নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, বিচারপতি নির্দেশ দেন চাকরি বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামী চার মাস পার্শ্ব শিক্ষক হিসেবে স্কুলে কাজ করতে পারবেন। এছাড়া, তাঁরা যদি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হন এবং প্রাথমিকের চলতি ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় উত্তীর্ণ হন তবে এই প্রার্থীরা ফের নিজেদের চাকরি ফেরত পাবেন। এদিকে, চাকরিহারাদের দাবি, যতক্ষণ না পর্যন্ত পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি আসছে ততক্ষণ পর্যন্ত চাকরি বাতিলের কথা মানতে নারাজ তাঁরা।