সাধারণত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নথিতে নাম, বয়স, অভিভাবকের নামে কোনোও পরিবর্তন চাইলে সেক্ষেত্রে অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে তথ্য পরিবর্তন করতে পারেন পড়ুয়ারা। এতদিন এই সংশোধনের জন্য একটি ন্যুনতম মূল্য প্রদান করতে হতো। তবে এবার সংশোধন ফি বাড়ালো মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। যার দরুণ এখন থেকে গুনতে হবে বাড়তি টাকা। সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ বিষয়ে জানিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
আগে নাম ও পদবি পরিবর্তন করতে আবেদনপত্রের সাথে জমা করতে হতো ৫০/- টাকা। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণীর পড়ুয়াদের বয়স পরিবর্তন করতে দিতে হতো ১০০/- টাকা। মাধ্যমিক দেওয়ার তিন বছরের মধ্যে বয়স পরিবর্তন করতে হলে দিতে হতো ৩০০/- টাকা। আর তার চেয়ে বেশি হলে আবেদন ফি ধার্য হতো ৬০০ টাকা। তবে এবার সেই সমস্ত টপকে এক ধাক্কায় ফি বাড়ানো হলো ১০০০/- টাকা। যা যথেষ্টই বেশি বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল। তবে পর্ষদের এক কর্তার কথায়, তেরো বছর পর বৃদ্ধি পেয়েছে ফি।
আরও পড়ুনঃ ডিজিটাল ব্যবস্থায় জোর উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের
প্রসঙ্গত, বেশ কিছু বছর ধরেই ভুুুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট নিয়ে নানান অভিযোগ সামনে আসছিল। এক ব্যক্তি তাঁর অবসরের ঠিক আগে বয়স কমানোর জন্য বার্থ সার্টিফিকেট জমা দেন। যার দরুণ তাঁর অবসরের সময় পিছিয়ে যায়। পরবর্তীতে এ নিয়ে মামলা হয়। তাই এ সমস্ত বিষয়ে এবার আরও সাবধানী হচ্ছে পর্ষদ। ছয় মাস আগে অ্যাড হক কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হলেও তা কার্যকর হয়নি। তবে এবার এ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।