চলতি বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৬২৮ জন। ফলপ্রকাশ হতে দেখা গেল এঁদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪২৮ জন। অর্থাৎ প্রায় লক্ষাধিক পরীক্ষার্থী ফেল করেছেন এবছর। মার্কশিটে ‘এএ’ (৯০-১০০ নম্বর) গ্রেড পাওয়া পড়ুয়ার সংখ্যা যেমন কমেছে, তেমনই বিগত বছরের তুলনায় এ বছরে ‘এ’ গ্রেড (৬০-৭৯ নম্বর) পাওয়া পড়ুয়ার সংখ্যা কমেছে প্রায় ৭৫ হাজারেরও বেশি। এছাড়া, অন্যবারের তুলনায় এবছর প্রথম বিভাগে পাশ করা পড়ুয়ারা সংখ্যাও কম।
এই ঘটনার একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। বিগত বছরগুলির কোরোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে এবছর পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে পরীক্ষা হয়েছে রাজ্যে। পর্ষদ সভাপতির কথায়, কোরোনাকালে প্রায় দুই বছর স্কুল বন্ধ ছিল। সেই সময় শ্রেনীকক্ষের পড়াশোনার পরিবর্তে বিকল্প পদ্ধতিতে অনলাইনে পঠনপাঠন হয়েছে স্কুলগুলিতে। এর ফলে পড়ুয়াদের মধ্যে অঙ্ক এবং ইংরেজিতে গ্যাপ তৈরি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে মাধ্যমিকের রেজাল্টে। এছাড়া, পড়ুয়াদের পরীক্ষা প্রস্তুতিতে কিছু অভাব থাকতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ অভাব ডিঙিয়ে মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় উজ্জ্বল সবজি বিক্রেতার ছেলে
সূত্রের খবর, পর্ষদের অন্যান্য আধিকারিকরাও পাশের হার কমার কারণ হিসেবে কোভিড পরিস্থিতিকেই দায়ী করেছেন। তাঁদের কথায়, ছাত্রছাত্রীদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। এর জন্য কিছুটা সময় দিতে হবে। চলতি বছরের মাধ্যমিকে ৬০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেয়ে পাশ করা পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ১৩.৬৭ শতাংশ। মাধ্যমিকে সর্বমোট পাশের হার ৮৬.১৫ শতাংশ। যদিও, নম্বরের দিক থেকে নজর কেড়েছে জেলাগুলি।মেধাতালিকায় জায়গা পায়নি কলকাতা। মেধাতালিকায় রয়েছেন মোট ১১৮ জন। মাধ্যমিকে সফল সকল ছাত্রছাত্রীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।