কলকাতা হাইকোর্টের সাম্প্রতিক রায় নিয়ে বিরাট ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট ভুয়ো ওবিসি শংসাপত্র মামলায় কঠোর রায়দান করেছে। কলকাতা হাইকোর্টের সাম্প্রতিক এই রায়ে ২০১০ সালের পরে রাজ্য সরকার প্রদত্ত সমস্ত ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। বহু অনিয়ম, দুর্নীতি এবং ভুয়ো শংসাপত্র বিলির অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট এই রায় জারি করেছে। কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ের ফলেই বিরাট ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার।
সাম্প্রতিক লোকসভা ভোটের শুরুতেই কলকাতা হাইকোর্ট ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের এই রায়দান করেছিল। লোকসভা ভোটের প্রচার চলাকালীন অনগ্রসর শ্রেণী শংসাপত্র অর্থাৎ ওবিসি শংসাপত্র সংক্রান্ত কলকাতা হাইকোর্টের এই রায় রাজ্য সরকার মানবে না বলে জানিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ের ফলেই আপাতত ডব্লিউবিসিএস সহ অন্যান্য চাকরির নতুন প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আরজি জানাতে পারে নবান্ন। সূত্রের খবর অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে, হাইকোর্টের এই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ পাওয়ার চেষ্টা করবে রাজ্য সরকার। স্থগিতাদেশ পাওয়ার পর বাকি প্রক্রিয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরবর্তী সময়ে।
চাকরির খবরঃ মাধ্যমিক পাশে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ও এমটিএস নিয়োগ
প্রশাসনিক বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী, আপাতত হাইকোর্টের এই রায়ের ভিত্তিতে নতুন চাকরির বিজ্ঞাপন থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া সবকিছুই বন্ধ থাকছে। নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে, যেহেতু সুপ্রিম কোর্টে এই মুহূর্তে গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে তাই আদালত পুরোপুরি শুরু হওয়ার পরেই এই বিষয়ের সংশ্লিষ্ট আবেদন সুপ্রিম কোর্টে জমা করা হবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। পাবলিক সার্ভিস কমিশন এই রায় হওয়ার আগে থেকেই বিভিন্ন নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাচ্ছিল। বেশ কিছু নিয়োগের ক্ষেত্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে এবং যোগ্যদের ইন্টারভিউর জন্য ডাকা হয়েছে। আদালতের এই রায়ের কারণে সংশ্লিষ্ট নিয়োগের প্রক্রিয়াগুলি বাধা প্রাপ্ত হবে না বলে দাবি করেছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ না পাওয়া পর্যন্ত ডব্লিউবিসিএস -এর মেইনস্ পরীক্ষার আয়োজন আপাতত হবে না।