সরকারি চাকরি পাওয়ার স্বপ্ন দ্যাখেন দেশের অসংখ্য যুবক-যুবতী। কিন্তু কঠিন প্রতিকূলতা পেরিয়ে তা সফল করা মোটেই সহজ নয়। তার মধ্যে যদি বাধা হয়ে দাঁড়ায় দারিদ্র্যতা, তবে সেই পরিস্থিতিকে পার করা হয়ে ওঠে পাহাড়সম। কিন্তু আমাদের আশেপাশেই এমন কিছুজন রয়েছেন যাঁরা চ্যালেঞ্জ নিতে দুবার ভাবেন না। তাঁদের অসীম মেধা ও কঠোর পরিশ্রম ফোটায় সাফল্যের আলো। তেমনই একজন কৃতী বঙ্গসন্তানের কথা আজ আমরা জানবো। তিনি হলেন ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি এলাকার মণীষা মান্ডি। একইসঙ্গে চার সরকারি চাকরিতে সফল মনীষা এখন WBCS অফিসার হিসেবে কর্মরত।
ছোট থেকে প্রত্যন্ত এলাকায় বড় হয়েছেন মনীষা মান্ডি। ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি ব্লকের হাতিডোবা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। বরাবরই মেধাবী ছাত্রী মনীষা এলাকার প্রত্যন্ত স্কুলে পড়াশোনা করেন। কলেজ স্তরে রসায়নে স্নাতক উত্তীর্ণ হন তিনি। স্নাতক পাশের পর বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন মনীষা। স্নাতকোত্তর পাশের পরেই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষাকে লক্ষ্য বানান তিনি। এরপরই চলে কঠিন পরিশ্রম ও একটানা অধ্যাবসায়। মনীষা জানান, দিনে বারো ঘন্টা করে পড়াশোনা করতেন তিনি। এই পরিশ্রমের ফল পান হাতে কলমে। চলতি WBCS পরীক্ষার ফলাফল বেরোতে দেখা যায় ‘এ’ গ্রেড পেয়ে পাশ করেছেন মনীষা। এর পাশাপাশি ২১৯ তম স্থান অধিকার করেছেন তিনি। আপাতত অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার অফ রেভেনিউ পদে যোগদান করতে চলেছেন কৃতী।
আরও পড়ুনঃ UPSC উত্তীর্ণ একই পরিবারের চার ভাইবোন
কেবল WBCS পরীক্ষায় সাফল্য নয়, একইসঙ্গে মোট চারটি সরকারি চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন মনীষা মান্ডি। তাঁর এই সাফল্যে পরিবারে এসেছে খুশির আলো। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, মনীষা সেই এলাকার প্রথম একজন যিনি WBCS পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। অন্যদিকে, মনীষার বক্তব্য, এই গোটা লড়াইতে তিনি পাশে পেয়েছিলেন তাঁর মা বাবাকে। এছাড়া, শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন অফিসার মনীষা মান্ডি। প্রত্যন্ত এলাকায় থেকেও যে সাফল্য অর্জন করা যায়, তার প্রমাণ রাখলেন কৃতী সন্তান মনীষা।