এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার পর এবার ফুড সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগের মামলায় গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ৪৮০ টি শূন্যপদের জন্য প্রায় ১৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশন। গত ১৬ই এবং ১৭ই মার্চ তারিখে ফুড সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজিত হয়েছিল মোট ৬ টি শিফটে। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের আয়োজিত এই পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। এরপর হাইকোর্টে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের করা হয়েছিল মামলা। সেই মামলাতেই এদিন রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিন ফুড সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগ প্রক্রিয়াতে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট এদিন স্পষ্ট জানিয়েছে, প্রশ্ন ফাঁসের মামলাটি তদন্ত করে দেখবে রাজ্য পুলিশের সিআইডি। সিআইডির এডিজি পদমর্যাদার অধিকর্তার নেতৃত্বে এই তদন্ত করতে হবে। রাজ্যের বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া মামলা গুলি একত্রে করে প্রতিটি অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে হবে এবং প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগটি বিশেষভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফুড সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি থাকবে।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বাতিল হল ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায়দানের পর ফুড সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগের মামলার এই রায়দান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ ধারাবাহিকভাবে সামনে আসছে। সংশ্লিষ্ট নিয়োগের ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীরা প্রথম দিন থেকেই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ সামনে এনেছিলেন। নির্দিষ্ট এই অভিযোগের ভিত্তিতে কমিশনের সামনে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ এবং প্রশ্ন ফাঁসের মামলায় তদন্তের নির্দেশ দিয়ে একপ্রকার চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগকে মান্যতা দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কত দ্রুত তদন্ত শেষ করে সিআইডি তাদের রিপোর্ট জমা দিতে পারে সেদিকেই তাকিয়ে আছেন চাকরিপ্রার্থীরা।