এবার এসএসসি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ালো প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এসএসসি (WBSSC) -তে দুর্নীতি হচ্ছে তা বহুদিন ধরেই রব উঠেছিল। কিন্তু, বারবারই সেইসব অভিযোগকে আমল দিতে চায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
কিন্তু এদিন সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court) দ্বারা নিযুক্ত অনুসন্ধান কমিটি যে রিপোর্ট জমা করেছে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্বস্তি বাড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট। অনুসন্ধান কমিটি রিপোর্ট অনুযায়ী, নিয়োগের আগে যে সুপারিশ কমিটি তৈরি হয়েছিল, তা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ মাফিক। এ প্রসঙ্গে আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত বলেন, ‘আদালত সুপারিশ কমিটি গঠনের বিষয়টিকেই বেআইনি বলেছে। কারণ কেউ এই কমিটি গঠনই করতে পারে না।’ শুধু এসএসসি নয়, নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদও। এই মামলার শুরুতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও এসএসসি একে অপরের ওপর দায় সারছিলো, কিন্তু কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে দায় পর্ষদ ও এসএসসি উভয়েরই।
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় গ্রুপ-ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে চরম দুর্নীতি হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে অনুসন্ধান কমিটি। এই কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন রঞ্জিতকুমার বাগ। এছাড়াও এই কমিটির অন্যতম সদস্য আইনজীবী অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। রিপোর্টে বলা হয়েছে গ্রুপ ডি-তে চাকরি হওয়া ৬০৯ জনের নিয়োগ পুরোপুরি বেআইনি। এমনকি এই নিয়োগ করিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে দপ্তরের প্রথম সারির কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। তাদেরই সুপারিশে এই ৬০৯ জনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি আনন্দকুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই রিপোর্ট জমাও করেছে অনুসন্ধান কমিটি।
আরও পড়ুনঃ
রাজ্যের ক্লার্ক ও গ্রূপ-ডি কর্মী নিয়োগ চলছে
মাধ্যমিক পাশে আশা কর্মী নিয়োগ
পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের কাছে এই ঘটনা খুবই বেদনাদায়ক। রাজ্যের বেকার চাকরি প্রার্থীরা জানাচ্ছেন, ‘যে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী নিয়োগ ক্ষেত্রে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকেন, সেই রাজ্যে প্রকৃত মেধাবী প্রার্থীর চাকরির অভাব বটে।’ তাদের আরও দাবি, ‘পশ্চিমবঙ্গের চাকরি ক্ষেত্রে দুর্নীতির শেষ কবে তা তাদের জানা নেই, তবুও তারা আশাবাদী নতুন সূর্যের অপেক্ষায়’।
রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের নিত্য নতুন চাকরির আপডেট সর্বপ্রথম পেতে ExamBangla.com -এর পাতায় চোখ রাখুন।