রাজ্যে গ্রুপ ডি পদে বেআইনিভাবে নিয়োগ পাওয়া ১৯১১ জন প্রার্থীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের সুপারিশপত্র বাতিল করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এসএসসি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয় বিস্তারিত তালিকা। তবে এবার হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন চাকরি বাতিল হওয়া গ্রুপ ডি প্রার্থীরা।
এর আগে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন চাকরি বাতিল হওয়া প্রার্থীরা। মামলার শুনানি শেষ হলেও সে মামলার রায় এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে ডিভিশন বেঞ্চ চাকরি বাতিল সংক্রান্ত সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ এখনও বজায় রেখেছে। বেআইনিভাবে নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বিচারপতির বক্তব্য ছিল, ওই সকল প্রার্থীদের এতদিনের বেতন ফেরত দিতে হবে সাথে তাঁরা আর কোনও সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। যদিও ডিভিশন বেঞ্চ বেতন ফেরতের নির্দেশে এখন স্থগিতাদেশ দিয়েছে। কারণ এই বিষয়টি আরও একবার পর্যবেক্ষণ করতে চাইছেন বিচারপতিরা। তাই এখনই বেতন ফেরত দিতে হচ্ছে না গ্রুপ ডি প্রার্থীদের।
চাকরির খবরঃ কেন্দ্রীয় সরকারের দপ্তরে ক্লার্ক ও পিওন নিয়োগ
সূত্রের খবর, এদিকে চাকরি বাতিল হওয়া ১৯১১ জন গ্রুপ ডি প্রার্থী সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল লিভ পিটিশন করেছেন। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে উদ্ধার হওয়া ২৮২৩টি ওএমআর শিটের জালিয়াতি স্বীকার করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। যার মধ্যে বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ পেয়েছিলেন ১৯১১ জন প্রার্থী। এরপর গত ১০ই ফেব্রুয়ারি চাকরি বাতিল হয় সংশ্লিষ্ট ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর।