পশ্চিমবঙ্গের নিয়োগ জটিলতায় ভুক্তভোগী চাকরি প্রার্থীরা। ১০০০ দিনের উপর রাস্তায় বসে রয়েছেন তাঁরা। একটাই দাবি, নিয়োগ চাই। দীর্ঘ আন্দোলন, প্রতিবাদ, যন্ত্রণায় সর্বসমক্ষে মাথা কামিয়েছেন এক চাকরিপ্রার্থী তরুণী। ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। শিক্ষামন্ত্রী জানান, SLST চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন তিনি। কথামতো, ডিসেম্বরের শুরুতে বিকাশ ভবনে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী। গত ১১ ডিসেম্বর ছিল বৈঠক। বৈঠক শেষে ব্রাত্য বসু জানান শীঘ্রই ৫৫৭৮ শূন্যপদ পূরণে ব্যবস্থা করবে সরকার। পাশাপাশি, ব্রাত্য বসু এও জানান চলতি ডিসেম্বরে আবারও এ নিয়ে বৈঠক আয়োজন হবে। প্রতিশ্রুতি মাফিক আন্দোলনকারীদের নিয়ে ফের বৈঠকে বসেন ব্রাত্যবাবু। এদিনের বৈঠকের পর তিনি জানান, ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত নোটিফিকেশন জারি করা হবে।
বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে প্রায় ঘন্টা দেড়েকের বৈঠকে সারেন শিক্ষামন্ত্রী। বৈঠকের পর চাকরি প্রার্থীদের একাংশ জানান, ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখের মধ্যেই নিয়োগপত্র হাতে পেতে চলেছেন তাঁরা। এমনকি এই নির্দেশ যে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন, তাও উল্লেখ করেছেন তিনি। অর্থাৎ বেশ বোঝা যাচ্ছে ফেব্রুয়ারির শুরুতে এসএসসি নিয়োগের নোটিফিকেশন জারি করতে চলেছে সরকার। যদিও আইনি জটিলতা নিয়ে এখনও ধন্দ কাটছে না।
আরও পড়ুনঃ ৫৯০ টি নতুন শূন্যপদে নিয়োগ পাবেন রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীরা
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে আইনি জটিলতা কাটিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের সুষ্ঠু নিয়োগ সম্পন্ন হয় তা খতিয়ে দেখতে। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় বৈঠকের পর প্রার্থীদের বক্তব্য, আইনি জটিলতা কিভাবে মেটানো সম্ভব তার পুরোটাই নির্ভর করছে সরকারের উপর। তবে এখন চাকরিপ্রার্থীদের একটাই স্বস্তি যে, চাকরির নিয়োগপত্র নিয়ে বড় আশ্বাস মিললো। এত দীর্ঘ আন্দোলন, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ সব বিফলে যায়নি। এখন নতুন বছরের অপেক্ষায় চাকরিপ্রার্থীরা। কবে নিয়োগ নোটিফিকেশন জারি হয়, তার জন্য দিন গুনছেন যুবক-যুবতীরা।