২০২৪ সাল পশ্চিমবঙ্গের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য মোটেও ভালো সময় ছিল না। কারণ ২০২৪ সালের মে মাস থেকেই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বেশিরভাগ OBC সার্টিফিকেট বাতিল করার রায় ঘোষণা করে কলকাতা উচ্চ আদালত। এই ঘটনার পরে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বিচারের আর্জি জানানো হয়। এদিন ৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিন ছিল। কিন্তু আজকে সুপ্রিম কোর্টের এই শুনানি স্থগিত রাখা হয়েছে এবং পরবর্তী দিন দেওয়া হয়েছে ২৮/০১/২০২৫ তারিখে।
২০২৪ সালের ২২ শে মে কলকাতা উচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে ২০১০ সালের পর ইস্যু করা সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের রায় ঘোষণা করা হয়। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চের এই সিদ্ধান্তে পশ্চিমবঙ্গের ১২ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট অকেজো হয়ে যায়। এরপর থেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা এবং বিজ্ঞপ্তি স্থগিত রাখা হয়েছিল। ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য সরকার এবং অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে বিচারের দাবি করা হয় সুপ্রিম কোর্টের কাছে।
আরও পড়ুনঃ ১০৩৬ শূন্যপদে রেলওয়ে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, রইলো বিস্তারিত আবেদন পদ্ধতি
বিভিন্ন আইনী অনুসন্ধানের মাধ্যমে জানা গিয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল এবং তাদেরকে OBC সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করা হয়। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার রায় অনুসারে, শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে কোনরকম সংরক্ষণের নিয়ম একেবারেই নীতিবিরুদ্ধ। এর পাশাপাশি আইনজীবীদের দাবি অনুসারে কোনরকম তথ্য যাচাই করন ছাড়াই অনেককে ওবিসি বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও কমিশনকে এড়িয়ে এই কাজ করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়। তাই ২০১০ সালের পর থেকে সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা উচ্চ আদালত।
এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে পরবর্তী শুনানির তারিখ ঘোষণা করা হয়। তবে আজকে শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি হয়নি এবং পরবর্তী শুনানির দিন ঘোষণা করা হয় আদালতের পক্ষ থেকে। প্রসঙ্গত, শীর্ষ আদালতে গত মঙ্গলবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলারও শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে সেই দিনটিও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার পরবর্তী শুনানির দিনগুলির জন্যই অপেক্ষা করতে হবে সকলকে।
আরও পড়ুনঃ HMPV ভাইরাস আসলে কি? জানুন বিস্তারিত