অন্যান্য খবর

নতুন করে চাকরি হারাবেন রাজ্যের ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক? অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠল মামলা

রাজ্যের দশ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সংকটে! নিয়োগ দুর্নীতির নয়া মামলা শুনবেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিস্তারিত পড়ুন আজকের প্রতিবেদনে।

Advertisement

চাকরির শর্তপূরণ ছাড়াই নিয়োগ পেয়ে গিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকেরা। প্রাইমারি টিচারদের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ তোলা হল আদালতে। প্রাথমিক স্কুলের দশ হাজার শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠলো এই অভিযোগ। এই সকল শিক্ষকেরা প্রাইমারি স্কুলে অস্থায়ী শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন বহুদিন। তবে এবার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হল হাইকোর্টে। মঙ্গলবার এই মামলা দায়েরের পর এদিন বুধবার মামলা শোনার কথা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।

ঠিক কী অভিযোগ উঠছে? মামলাকারীরা জানাচ্ছেন, প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার জন্য লাগে ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন (ডি.এল.এড) ডিগ্রি। ২০১৮ সালে জাতীয় শিক্ষণ পর্ষদের নিয়ম ছিল, বি.এড ডিগ্রিপ্রাপ্ত প্রার্থীরাও প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন। কিন্তু শর্ত ছিল যে, প্রার্থীদের চাকরি জয়েনের এক বছরের মধ্যে ছয় মাসের একটি ব্রিজ কোর্স করতে হবে। এদিকে বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ডি.এল.এড ডিগ্রিধারী প্রার্থীরাই প্রাইমারি টিচার হওয়ার যোগ্য। মামলাকারী প্রার্থীদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট দশ হাজার জন প্রাইমারি টিচারের ডি.এল.এড ডিগ্রি নেই। পাশাপাশি, তাঁরা আগের নিয়ম অনুসারে ব্রিজ কোর্সও করেন নি। অতএব তাঁরা চাকরি পাওয়ার যোগ্য নন। এই মর্মেই মামলা দায়ের হয় আদালতে।

আরও পড়ুনঃ ডিসেম্বরেই আয়োজিত হবে প্রাইমারি টেট

মামলাকারী প্রার্থীদের আরও দাবি, এই শিক্ষকেরা চাকরি পেয়েছিলেন ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসারে। তাঁদের যে ব্রিজ কোর্স হয়নি, তা স্বীকার করে নিয়েছেন স্বয়ং ডেপুটি সেক্রেটারিও। তবে এই কোর্স না করা হয়ে থাকায় এই শিক্ষকেরা অস্থায়ী হিসেবে চাকরি পান। তাঁরা বর্তমানে অস্থায়ী শিক্ষক রূপে রাজ্যে সরকারের ‘বি’ ক্যাটেগরিতে বেতন পেয়ে চলছেন। কিন্তু মামলাকারীদের বক্তব্য, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুসারে তাঁদের চাকরি থাকার কথা নয়। কারণ বি.এড প্রশিক্ষিতরা প্রাথমিকের শিক্ষক হওয়ার জন্য বৈধ নয়। তাই এই সকল প্রার্থীর চাকরি বাতিলের আর্জি জানানো হয়েছে উচ্চ আদালতে।

চাকরি হারাবেন রাজ্যের ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক

Related Articles