রাজ্যে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ফের সুখবর দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। হাজার হাজার শূন্যপদে কর্মী নিয়োগের তোড়জোড় শুরু হল রাজ্যে। যোগ্যতার বিচারে প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হবে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী হিসেবে। রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলায় রয়েছে ‘সিলেকশন অ্যান্ড মনিটরিং কমিটি’। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে জেলাস্তর থেকে। ইতিমধ্যে দ্রুত শূন্যপদ পূরণের জন্য অত্যন্ত তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া।
সূত্রের খবর, রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে কর্মী ও সহায়িকা মিলিয়ে মোট ৩৬ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। বর্তমানে রাজ্যে প্রায় ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৮৪১টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে থাকেন একজন করে কর্মী ও সহায়িকা। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে যে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি রয়েছে, সেখানকার শূণ্যপদ পূরণে তৎপর হয়েছে রাজ্য প্রশাসন। নিয়োগ প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আগেই জেলায় জেলায় গঠন করা হয়েছিল সিলেকশন কমিটি। তবে পাঁচ জেলায় এই সিলেকশন কমিটি ছিল না। কিন্তু সম্প্রতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গতি আনতে সংশ্লিষ্ট পাঁচ জেলা, তথা মালদহ, পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে এই সিলেকশন কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতএব দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। অতি শীঘ্রই এ নিয়ে বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ প্রাইমারি টেটের আবেদন গ্রহণ শুরু করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
গঠিত হওয়া পাঁচ জেলার সিলেকশন কমিটিতে রয়েছেন জেলাশাসকদের চেয়ারপার্সন, বিধায়কদের ভাইস চেয়ারপার্সন, ও মেম্বার কনভেনর। বুধবার পশ্চিমবঙ্গের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, রাজ্য সরকার চায় যত দ্রুত সম্ভব শূন্যপদ পূরণ করতে। তাই জন্যই নিয়োগ কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এদিন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা নিয়মে বদল আনার বিষয়েও বক্তব্য রাখেন শশী পাঁজা। এই বদল গুলিকে জনবিরোধী বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, আগের নিয়ম চালু রাখার জন্য কেন্দ্রের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। তবে আপাতত নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ চলছে রাজ্যে।