সরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগ নিয়ে বিরাট ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী! ৫ লক্ষ শূন্যপদে দ্রুত করা হবে নিয়োগ
রাজ্যে সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে শূন্যপদের ভিত্তিতে বিরাট নিয়োগের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিস্তারিত পড়ুন আজকের প্রতিবেদনে।
![নিয়োগ নিয়ে বিরাট ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী](https://exambangla.com/wp-content/uploads/2024/02/cm-mamata-780x470.jpg)
লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যে বিরাট নিয়োগের ঘোষণা। অন্য কেউ নন এই ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে মোট শূন্য পদের সংখ্যা জানতে চেয়েছিলেন তিনি। গত কয়েকদিন আগেই সেই শূন্যপদ সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা পড়েছে তাঁর হাতে। সরকারি দপ্তরের মাধ্যমে প্রকাশিত এই শূন্যপদের ভিত্তিতে বিরাট নিয়োগের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বিস্তারিত পর্যালোচনা করার পর বিভিন্ন পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলেও জানালেন তিনি।
এদিন আরামবাগে একটি সরকারি পরিষেবা প্রদান কর্মসূচি থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে মোট পাঁচ লক্ষ শূন্য পদ এই মুহূর্তে রয়েছে। এই পাঁচ লক্ষের মধ্যে ১ লক্ষ শূন্যপদ আছে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে। অন্যদিকে পুলিশের শূন্যপদ প্রায় ৬০ হাজারের কাছাকাছি। এছাড়া দমকল, পঞ্চায়েত জনস্বাস্থ্য, কারিগরি দপ্তর সহ বেশ কয়েকটি দপ্তরে বহু সংখ্যক পদ খালি আছে। প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে শূন্যপদ গুলিতে একের পর এক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
চাকরির খবরঃ গ্রাম পঞ্চায়েত ভিত্তিক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগ শুরু হল
গত বছর মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং সহায়িকা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পেয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী মার্চ মাসে আয়োজিত হতে চলেছে ফুড সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগের পরীক্ষা। এরপরই আয়োজিত হবে ক্লার্কশিট নিয়োগের পরীক্ষা। এরই মধ্যে রাজ্য পুলিশে ১২ হাজার কনস্টেবল নিয়োগের বিষয়টি চর্চায় আছে বহুদিন। সম্প্রতি এই নিয়োগের অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছে। এরপর রাজ্যের গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন শূন্যপদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পাবে বলেও আশা করছেন রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীরা। সব মিলিয়ে লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যের বিভিন্ন স্তরের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বিপুল নিয়োগের ব্যবস্থা করতে চলেছে রাজ্য সরকার।