রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য দারুণ সুখবর। প্রচুর শূন্যপদে স্পেশাল এডুকেটর নিয়োগের তোড়জোড় শুরু করল সরকার। প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিক স্তরে নিয়োগ দেওয়া হবে স্পেশাল এডুকেটরদের। তৈরি করা হবে নয়া নিয়োগ বিধি। প্রথম ধাপে স্পেশাল এডুকেটর নিয়োগে রাখা হয়েছে ২৭১৫ টি পদ। তবে বাড়তি শূন্যপদ থাকছে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে। সবমিলিয়ে ৫২৯৮ টি শূন্যপদে নিয়োগ পাবেন রাজ্যের চাকরিপ্রার্থী তরুণ-তরুণীরা।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষাদান করেন স্পেশাল এডুকেটররা। তাঁদের জীবনে শিক্ষার আলো পৌছে দিতে অগ্রণী ভূমিকা নেন তাঁরা। রাজ্যের স্কুলে স্পেশাল এডুকেটর নিয়োগ যাতে হয়, তার জন্য আগেই নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সমস্ত স্কুলে চাহিদার ভিত্তিতে তাঁদের নিয়োগ করতে বলে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মাফিক এবার তোড়জোড় শুরু করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের নয়া শিক্ষানীতিতেও স্পেশাল এডুকেটর নিয়োগে গুরুত্ব দেওয়ার উল্লেখ রয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে যাতে রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে অন্ততঃ একজন করে স্পেশাল এডুকেটর থাকেন, তার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতোমধ্যে রাজ্যে প্রাথমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা কম নয়। প্রতিটি স্কুলে একজন করে স্পেশাল এডুকেটর থাকলে সবমিলিয়ে নিয়োগের সংখ্যা পৌছবে ৮০ হাজারের কাছাকাছি। স্পেশাল এডুকেশন ট্রেনিং নেওয়া প্রার্থীদের কাছে এটি নিঃসন্দেহে ভালো খবর।
আরও পড়ুনঃ পঞ্চায়েত দপ্তরের ৭ হাজার শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ
সূত্রের খবর, স্পেশাল এডুকেটর নিয়োগে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। জেলায় জেলায় চিঠি পাঠিয়েছেন স্কুল শিক্ষা কমিশনার। প্রতিটি স্কুলের তরফে যাতে শূন্যপদের রেজিস্টার অফ অ্যাপয়েনমেন্ট দ্রুত পাঠানো হয়, তার জন্য কলকাতা ও জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্ষদের কাছে চিঠি পৌছেছে। বাংলায় ইতোমধ্যে কতজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু রয়েছেন, তা বাংলা শিক্ষা পোর্টালের মাধ্যমে হিসেব করে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, বেশ কিছু জেলায় স্পেশাল এডুকেটরের শূন্যপদ যথেষ্ট বেশি। তবে সমস্ত শূন্যপদের হিসেব সেরে শিক্ষাদপ্তরে পাঠানো হবে। তারপর নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে প্রার্থী বাছাই করবে রাজ্য সরকার।