এক নজরে
অতি শীঘ্রই রাজ্যে নয় হাজারেরও বেশি শূন্যপদে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা নিয়োগ করা হবে। লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউর মাধ্যমে বেছে নেওয়া হবে যোগ্য প্রার্থীদের। ইতোমধ্যে জমা পড়েছে হাজার হাজার প্রার্থীর আবেদন। আপনিও কী এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদন করেছেন? তাহলে এই কঠিন প্রতিযোগিতার মাঝে যোগ্য বলে বিবেচিত হওয়ার জন্য আপনাকে নিতে হবে সঠিক প্রস্তুতি। আর সঠিক প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য প্রয়োজন দুর্দান্ত একটি গাইড বুক। যে বইটির অনুশীলন করলে সফলতা আসতে বাধ্য। আজকের এই প্রতিবেদনে এমন একটি বইয়ের বিবরণ তুলে ধরা হল, যা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা নিয়োগ পরীক্ষার জন্য বেস্ট গাইড বুক।
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী পরীক্ষার বেস্ট গাইড বুক
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির গাইড বুক রয়েছে। তবে আপনি যদি সফল হতে চান, তবে আপনাকে বেছে নিতে হবে শ্রেষ্ঠ বইটি। আর সেই কারণেই ‘Exam Bangla Publication’-এর তরফে প্রকাশ করা হয়েছে ‘অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা গাইড বুক’। বইটি গুণগত মান যেমন ভালো তেমনই বইটি চাকরিপ্রার্থীদের পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য সবদিক থেকে উন্নত।
নিজের জেলার অঙ্গনওয়াড়ি নিয়োগের খবর পেতে WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হন
কেন পড়বেন বইটি?
➤ পরীক্ষার নতুন সিলেবাস অনুসরণ করে নির্মাণ করা হয়েছে বইটি।
➤ বইটতে ভাগে ভাগে সাজানো হয়েছে প্রতিটি টপিক।
➤ বইটিতে রয়েছে ১) বাংলা প্রবন্ধ ২) ইংরেজি গ্রামার ৩) গণিত ৪) কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ৫) জেনারেল নলেজ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ। পাশাপাশি রয়েছে ৬) পরিবেশ ৭) স্বাস্থ্য ৮) গ্রাম পঞ্চায়েত ৯) অঙ্গনওয়াড়ি ও পুষ্টি বিজ্ঞান সম্পর্কিত তথ্য।
➤ এছাড়া বিগত বছরের প্রশ্নোত্তর যুক্ত করা হয়েছে বইটিতে।
➤ বইটি সহজ ভাষায় লিখিত ও বইটি এমনভাবেই সাজানো হয়েছে যে, তা সকল পরীক্ষার্থীদের কাছে বোধগম্য ও পরীক্ষায় সফলতার ব্রম্ভাস্ত্র।
➤ পরীক্ষায় ভালো ফল করে পাশ করতে গেলে এই বইটির অবশ্যই অনুশীলন করতে হবে প্রার্থীদের।
অঙ্গনওয়াড়ি নিয়োগ পরীক্ষার সিলেবাস
রাজ্যে অঙ্গনওয়াড়ির নিয়োগে ৯০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা ও বাকি ১০ নম্বরের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। পরীক্ষায় যে বিষয়গুলি থেকে প্রশ্ন আসে সেগুলি হল:
➲ প্রবন্ধ রচনা (১৫ নম্বর)
➲ পাটিগণিত (২০ নম্বর)
➲ পুষ্টি, জনস্বাস্থ্য ও মহিলাদের অবস্থা (১৫ নম্বর)
➲ ইংরেজি (২০ নম্বর)
➲ সাধারণ জ্ঞান (২০ নম্বর)
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী পদে আবেদন জানানোর জন্য মহিলা চাকরিপ্রার্থীদের অন্ততঃ মাধ্যমিক পাশের যোগ্যতা থাকতে হবে। আর অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা পদে আবেদন জানানোর জন্য প্রার্থীদের অষ্টম শ্রেণী পাশের যোগ্যতা থাকতে হবে। এছাড়া প্রার্থী দের বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে।
প্রসঙ্গত, অবশেষে জটিলতা কাটিয়ে নিয়োগ দেওয়ার পথে রাজ্য সরকার। হাজার হাজার শূন্যপদে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হবে মহিলা প্রার্থীদের। যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পাবেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা পদে। কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, গোটা রাজ্য জুড়ে ৯ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা নিয়োগ করা হবে।