রাজ্য পুলিশের কনস্টেবলের সংখ্যা যে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম তা ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে রাজ্য সরকার মারফত। রাজ্যের অধিকাংশ থানাগুলিতে গড়ে ১৫ থেকে ২০ জন করে কনস্টেবল আছেন। এর ফলে প্রান্তিক স্তরের আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা পরিচালনার ক্ষেত্রে বিশেষ অসুবিধায় পড়তে হয় রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে। এরই মধ্যে আবার সামনেই লোকসভা ভোট। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য বিরাট পুলিশ বাহিনীর প্রয়োজন পড়বে রাজ্যে। সেই চাহিদা মেটাতেই এবার নতুন সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে চলেছে রাজ্য সরকার।
নবান্নের বিশেষ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাজ্যের সিভিক ভলেন্টিয়ারদের জুনিয়র কনস্টেবল পদে নিয়োগ করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্য পুলিশের অধীনে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার সিভিক কর্মী কর্মরত আছেন। লোকাল স্তরের থানা পরিচালনার ক্ষেত্রে এবং জেলা স্তরের ট্রাফিক মুভমেন্ট ঠিকঠাক করতে সিভিক ভলেন্টিয়াররাই এখন রাজ্য সরকারের বড় ভরসা। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কনস্টেবল পদে নিয়োগ করা হলে একদিকে তাঁদের বেতন বাড়বে অন্যদিকে স্থায়ী চাকরির পত্র হাতে পাবেন তাঁরা।
প্রতিদিন চাকরির খবর সর্বপ্রথম পেতে টেলিগ্রামে যুক্ত হন 👇👇👇
আরও পড়ুনঃ রাজ্য পুলিশে নতুন পদ তৈরি করে দেওয়া হবে চাকরি
সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, কিভাবে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কনস্টেবল পদে নিয়োগ করা সম্ভব হবে সেই নিয়ে নীতি নির্ধারণ করছেন রাজ্য পুলিশের কর্তারা। সে ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি শারীরিক যোগ্যতা যেমন ওজন এবং উচ্চতা সহ বয়সের ছাড় কতটা থাকবে সেই নিয়ে রূপরেখা তৈরি চলছে রাজ্য পুলিশের অন্দরে। একই সঙ্গে কনস্টেবল পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের প্রশিক্ষণের বিষয়টি নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে। লোকসভা ভোটের আগে এই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কনস্টেবল পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন কোন পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে সেই নিয়ে আলোচনা চলছে লাগাতার। সব মিলিয়ে প্রস্তুতি পর্ব সম্পূর্ণ করে আগামী লোকসভা ভোটের আগে এই নিয়োগ সম্পন্ন করা যায় কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়।