পশ্চিমবঙ্গের ২৩ টি জেলার সরকার অনুমোদিত, সরকার পোষিত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে ডিপ্লোমা-ইন-এলিমেন্টারি এডুকেশন কোর্সে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হল। চলতি শিক্ষাবর্ষে এই কোর্সে পঠন-পাঠন হবে রেগুলার অর্থাৎ ফেস-টু-ফেস পদ্ধতিতে। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের স্বীকৃত এই কোর্সের সময়সীমা হল দু’বছর। অর্থাৎ ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা এই কোর্সে ভর্তি হবেন তাদের পঠন-পাঠন চলবে ২০২৬ সাল পর্যন্ত।
ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীরা এই কোর্সে উত্তীর্ণ হলেই প্রাইমারি টিচার ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের আবার প্রাইমারি টিচার হওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে আবেদন জানাতে পারবেন। এই কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য যে কোনো বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীরা মোট ৫০% নম্বর পেলে আবেদন জানাতে পারবেন। তপশিলি, ওবিসি এবং প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের উচ্চমাধ্যমিকে পেতে হবে মোট ৪৫% নম্বর। ভোকেশনাল বিভাগের প্রার্থীদের জন্য আসন সংখ্যা বরাদ্দ করা হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে আসনের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ৭০০ টি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আসন সংখ্যা প্রায় ৪২ হাজারের কাছাকাছি। বাংলা, হিন্দি, নেপালি, উর্দু এবং সানতালি ভাষায় এই কোর্স করা যাবে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার জন্য আসন সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যের ১৩ হাজার শূন্যপদে অঙ্গনওয়াড়ি সুপারভাইজার নিয়োগ
উচ্চমাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বরের শতকরা হার নির্ণয়ের ওপর ভিত্তি করে প্রার্থী বাছাই করা হবে। মোট নম্বরের শতকরা শতাংশের উপর নির্ভর করে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে। আগামী ১০ জুন তারিখ থেকে ২২ জুন তারিখ পর্যন্ত ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ক্লাস অর্থাৎ পঠন-পাঠন শুরু হবে ৮ জুলাই থেকে। ইচ্ছুক আবেদনকারীরা ইতিমধ্যেই জানেন এই প্রক্রিয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে গত ১৬ মে তারিখ থেকে, যা চলবে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আবেদন জানানোর জন্য প্রার্থীর নাম ঠিকানা সহ বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা, জাতিগত শংসাপত্র ইত্যাদি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর সিস্টেম জেনারেটর আবেদনপত্রে সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে আবেদনপত্র সাবমিট করতে হবে। প্রার্থীদের নিকটবর্তী প্রতিষ্ঠানের নাম এবং ঠিকানা সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট মারফত পাবেন।
Official Website: Apply Now