রাজ্যে প্রাথমিকের শিক্ষক হওয়ার জন্য ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন (D.El.Ed) কোর্সে যুক্ত হন চাকরিপ্রার্থীরা। এনসিটিই -এর গাইডলাইন অনুসারে টেট পরীক্ষায় বসতে গেলে ডি.এল.এড কোর্সের যোগ্যতা থাকা বাধ্যতামূলক। প্রতি বছর হাজার হাজার প্রার্থী ডি.এল.এড পরীক্ষায় বসেন। সেই ডি.এল.এড পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতে এবার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, এবার থেকে ডি.এল.এড-এর মেধাতালিকা সরাসরি প্রকাশ করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
সূত্রের খবর, প্রাথমিকের শিক্ষক হওয়ার ট্রেনিং ডি.এল.এড কোর্স সম্পর্কে এবার বড় সিদ্ধান্ত জানাল পর্ষদ। ডি.এল.এড কোর্সের অফলাইন ভর্তি নিয়ে এর আগে একের পর এক অভিযোগ সামনে আসে। ভর্তিতে দুর্নীতি ও টাকার বিনিময়ে ডিগ্রি দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। তাই এবার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করল পর্ষদ। এবার থেকে ডি.এল.এড কোর্সের সম্পূর্ণ ভর্তি প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে অনলাইন মারফত। অফলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করা হল। এর পাশাপাশি পরীক্ষায় বিভ্রান্তি এড়াতে কেন্দ্রীয় ভাবে মেরিট লিস্ট প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এই কোর্সের ভর্তি ও পরীক্ষা সম্পর্কিত দায়িত্বভার নিজ হাতে নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
আরও পড়ুনঃ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগের আবেদন গ্রহণ শুরু হল
বর্তমানে সারা রাজ্যে ৬৫৬ টি ডি.এল.এড কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে ৪৪টি সরকারি ও বাকিগুলি বেসরকারি। প্রতি বছর হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী এই কোর্স করেন, পরীক্ষা দেন ও টেট পরীক্ষায় বসেন। ডি.এল.এড দ্বিতীয় পর্বের ভর্তি শেষ হয়েছে সম্প্রতি। ৪৫ হাজার শূণ্য আসনের জন্য আবেদন জমা পড়েছিল ৫০ হাজারের কাছাকাছি। যোগ্যতা অনুসারে প্রার্থীদের ভর্তি নেওয়া হবে। এছাড়া, নয়া নিয়ম চালু হবে রাজ্যের ডি.এড.এড কোর্সে।