বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবিতে সরকারের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। কেবল বিক্ষোভ, আন্দোলন নয় আদালতে দায়ের হয়েছে মামলা। এই ডিএ মামলায় শিক্ষক সংগঠনের যুক্ত হওয়া নিয়ে বিস্তর আলাপ আলোচনা চলছে। কারণ তাঁরাও রাজ্য সরকারের কর্মী। কিন্তু তাঁরা যদি মামলায় যুক্তও হয়, তবে তাঁদের আখেরে লাভ হবে না ক্ষতি? সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এবার স্পষ্ট তথ্য প্রকাশ করলেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সভাপতি শ্যামলকুমার মিত্র।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? সূত্রের খবর, সভাপতি শ্যামল কুমার মিত্র জানিয়েছেন, শিক্ষক সংগঠন যদি সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের ডিএ মামলায় যুক্ত হতে চায় তবে নিজেদের ক্ষতি করবেন তাঁরা। এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দুটি সম্ভাবনাকে তুলে ধরেছেন শ্যামলবাবু। তিনি বলেছেন, যদি শিক্ষক সংগঠন সুপ্রিম কোর্টের ডিএ মামলায় বিনা বাধায় যুক্ত হয় তবে দুটি ঘটনা ঘটতে পারে। এক, রাজ্য সরকার সামান্য সুযোগকে ধরেই মামলাটিকে দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করবে বা মামলাটি থেকে বড় অংশটি বাদ দেওয়ার চেষ্টা করবে। আর দুই, শিক্ষক সংগঠন যুক্ত হলে পর সরকার তরফের আইনজীবী দাবি তুলতে পারেন, মামলা স্যাটে দায়ের করা হয়েছিল আর স্যাটের মামলায় শিক্ষক সংগঠন যুক্ত হতে পারেন না। এই সূত্র ধরেই সরকারি আইনজীবী শিক্ষকদের মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য জোরালো সওয়াল তুলতে পারেন। আর এটি কার্যকর হলে পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় তাঁদের বেতন পাওয়ার পথ চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে।
চাকরির খবরঃ মাধ্যমিক পাশে কেন্দ্রীয় সংস্থায় চলছে বিপুল কর্মী নিয়োগ
এছাড়া কনফেডারেশনের সভাপতি শ্যামল কুমার মিত্র এও বলেছেন যে, শিক্ষক সংগঠন সুপ্রিম কোর্টের ডিএ মামলায় যুক্ত হলে শীর্ষ আদালত এই প্রশ্ন তুলতেই পারে যে, কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন না করে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন কেন। তখন তাঁদের উদ্দেশ্যে নির্দেশ আসতে পারে যে, তাঁরা আগে হাইকোর্টে আবেদন করুক তার পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হোক। সবমিলিয়ে সংশ্লিষ্ট কাজ করলে শিক্ষকদের বকেয়া ডিএ পাওয়ার বিষয়টিতে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করেছেন তিনি।