কেন্দ্রীয় হারে ডিএ বৃদ্ধি ও বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে সরব হয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। রাজ্য সরকার তাঁদের সঙ্গে বঞ্চনা করেছে বলে বারংবার উল্লেখ করেছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা যেখানে ৪২ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন সেই তুলনায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ হার যথেষ্ট কম। ইতিমধ্যে অন্যান্য বেশ কিছু রাজ্য সরকার তাঁদের কর্মীদের ডিএ বাড়িয়েছে কেন্দ্রের হারে। তাহলে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা কবে বাড়বে? এই প্রশ্ন উঠছে বারবার।
আন্দোলন, মিছিল, বিক্ষোভ পেরিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পৌছেছে রাজ্যের ডিএ মামলা। জুলাইতে মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশের রায় দেয়। এই মামলার দীর্ঘ শুনানির প্রয়োজন আছে বলেও উল্লেখ করে শীর্ষ আদালত। তারপর থেকে ফের অপেক্ষার প্রহর গোনা শুরু হয়েছে সরকারি কর্মীদের। ইতিমধ্যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, নভেম্বর মাসে ডিএ মামলার শুনানি হবে। সে মাসে একাধিক ছুটি থাকায় সংশয়ে ভুগছেন সরকারি কর্মীবৃন্দ। নভেম্বরের কোন দিন ডিএ মামলার শুনানি হবে তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। তবে ধারণা করা যাচ্ছে, ওই মাসের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ শুনানি হতে পারে। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকে চেয়ে রয়েছেন কর্মীরা।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যের শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিল সরকার
সরকারের কাছে বারংবার দাবি-দাওয়া তুলে ধরা হলেও মেলেনি উত্তর। উল্টে কেন্দ্রকে দোষারোপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিছুদিন আগে ঝাড়গ্রামে আয়োজিত সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্যের পলিসি আলাদা। লোকসভা ভোটের আগেই ডিএ পেয়ে যান কেন্দ্রের সরকারি কর্মীরা। অথচ কেন্দ্রের হাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের টাকা মেটাচ্ছে না কেন্দ্র। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট দাবি তোলেন যে কেন্দ্রের বঞ্চনাই রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ না পাওয়ার কারণ।এমতাবস্থায় আন্দোলন জিইয়ে রাখলেও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে ডিএ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে। তাই আশা করা যাচ্ছে, শীর্ষ আদালতের রায় যদি সরকারি কর্মীদের দিকে আসে তবেই একমাত্র মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে তার জন্য আরও বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে তাঁদের।