রাজ্যের স্কুলগুলোতে বেআইনিভাবে নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যব্যাপী তোলপাড় চলছে। এই সময় শিক্ষক নিয়োগে আইনেই আস্থা রয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এদিন বিকাশ ভবনে প্রাইমারি টেট চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দু-দফায় আলোচনার পরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান যে চাকরির জট কাটাতে সরকার আগ্রহী। চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা ইতিবাচক ভাবেই হয়েছে। তবে নিয়ম মেনেই এবং আইন মেনেই সমস্ত নিয়োগ হবে। শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও প্রাইমারি বোর্ডের সভাপতি এবং বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে।
এদিন বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী প্রথমে দেখা করেন ২০১৪ সালের টেট পাশ চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। ইতিবাচকভাবেই এই বৈঠক সম্পন্ন হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ২০১৭ সালের প্রাইমারি টেট পাশ করা প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। দ্বিতীয় দফার বৈঠকে চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ তারা ৫ বছর ধরে বঞ্চিত, ২০১৭ সালে বিজ্ঞপ্তি বেরানোর ৪ বছর পরে লিখিত পরীক্ষা হয় ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি। পরীক্ষার ফল বেরোয় ১০ জানুয়ারি ২০২২ এ।
আরও পড়ুনঃ ১০ লক্ষ শূন্যপদে চাকরি দেবে কেন্দ্রীয় সরকার
লিখিত পরীক্ষায় মাত্র ৯৮৯৬ জন পাশ করে। যেখানে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল মোট শূন্যপদ ২৫,০০০ এর কাছাকাছি। পাশ করা সমস্ত চাকরিপ্রার্থীই ডি.এল.এড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এখনও ইন্টারভিউ হয়নি। নিয়োগের কোনো নির্দিষ্টতা নেই। এমতাবস্থায় তারা ৯৮৯৬ জনেরই চাকরির দাবী জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে। যদিও শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, সমস্ত নিয়োগ আইনের পথেই হবে। আইন মেনে চাকরি হলে হবে না হলে নয়।