খাদ্য দপ্তরে বেআইনিভাবে নিয়োগে বাতিল ৬১৪ জন গ্রুপ-ডি কর্মী। ২০০৮ সালে খাদ্য দপ্তরের বিভিন্ন অফিসে গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। লক্ষাধিক আবেদনপত্র জমা পড়ে। পরে ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত কোন লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই সরাসরি ইন্টারভিউর মাধ্যমে গ্রুপ-ডি তে কর্মী নিয়োগ হয়েছিল। আর এই নিয়োগ সরকারি সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে না করে, খাদ্য দপ্তর নিজেরাই নিয়োগ করেছিল।
ইন্টারভিউয়ে সফল ৬১৪ জন প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই কর্মীদের কলকাতা ও জেলার বিভিন্ন অফিসে স্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হয়। ২০১০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্যানেল প্রকাশ হলে। প্যানেলে নাম না থাকা অসফল প্রার্থীরা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ১৯ মার্চ ২০১০ তারিখে মামলা করে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে (স্যাট) -এর কাছে।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যে নতুন করে WBCS নিয়োগ, ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী
পরবর্তীতে মামলাটি যায় হাইকোর্টে, সংশ্লিষ্ট সিলেকশন বোর্ডের ৫ সদস্য সহ এই প্রক্রিয়ায় অভিযুক্ত অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের নির্দেশ দেয় স্যাট। এদিন ৮ জুন স্যাটের বিচারপতি সৌমিত্র পাল ও প্রশাসনিক সদস্য সৈয়দ আহমেদ বাবার ব্রেঞ্চ নির্দেশ দেন এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যারা যুক্ত ছিলেন তাদের শাস্তি দিতে বিভাগীয় তদন্ত সহ সব পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে খাদ্য দপ্তরকে।
হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত মামলার রায়ের স্যাট জানায়, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রহসন (ফার্স অ্যান্ড আইওয়াশ) হয়েছে বলে মনে করছেন। স্বজনপোষণ ও পক্ষপাতিত্ব রয়েছে নিয়োগে।পরে মামলাটি হাইকোর্টের নির্দেশ স্যাটের আওতায় এলে। ওই ৬১৪ জনের চাকরি প্রার্থীদের বাতিল করে দেয়। ইন্টারভিউ বোর্ডে ৫ জন সদস্য সহ অনিয়মের অভিযুক্ত অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয় খাদ্য দপ্তরকে।