পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের দাবি ছিল কেন্দ্রীয় হারে ডিএ বৃদ্ধি করতে হবে। কিন্তু সেই দাবি আদৌ কর্ণপাত করেনি রাজ্য সরকার। দীর্ঘ আন্দোলন, বিক্ষোভের পরেও সাড়া মেলেনি সরকার তরফের। আর তাই বছর শেষের পর্বে জোরালো আন্দোলনের ডাক দিলেন সরকারি কর্মীরা। মহার্ঘ ভাতার দাবিতে এবার ত্রিমুখী আক্রমণের কৌশল নিলেন তাঁরা। পাশাপাশি, নতুন বছরে বৃহত্তর ধর্মঘট কর্মসূচি ডেকেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এই ধর্মঘটে বন্ধ থাকবে রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ ও অফিস।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বক্তব্য, ডিসেম্বর থেকেই শুরু হবে আন্দোলন কর্মসূচি। বড়দিনের আগে থেকেই জোরদার আন্দোলনের রেশ চলবে বঙ্গে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত নবান্নের সামনে অবস্থান করবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এই চারদিন রাজ্য সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখাবেন তাঁরা। ডিসেম্বরের এই আন্দোলনের আঁচ পৌছবে জানুয়ারিতেও। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচি আরও বাড়বে। জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে বৃহত্তর ধর্মঘটের ডাক দেবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। একটানা তিনদিন তথা ৭২ ঘন্টা ধর্মঘট চলবে রাজ্যে। যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, এই ধর্মঘট চলবে রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি অফিস-সহ সর্বত্র।
আরও পড়ুনঃ এবার থেকে হোম সেন্টারেই হবে কলেজের পরীক্ষা
একই সঙ্গে ধর্ণা, মিছিল ও ধর্মঘট এই তিন মুখী পথে গড়াবে রাজ্যের ডিএ আন্দোলন কর্মসূচি। আন্দোলনকারীদের কথায়, তাঁদের দাবি এবার শুনতেই হবে রাজ্য সরকারকে। কেন্দ্রীয় হারে বাড়াতে হবে রাজ্যের মহার্ঘ ভাতা। কিন্তু আদৌ কী কাজ হবে এতে? সরকার শুনবে কর্মীদের বার্তা? আশঙ্কার মেঘ জমছে সেদিকেও। প্রসঙ্গত, বর্তমানে রাজ্য সরকারি কর্মীরা ৬ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পান। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ হার উত্তরোত্তর বাড়ছে। নয়া সিদ্ধান্ত মতো, এখন তাঁরা ডিএ পাচ্ছেন ৪৬ শতাংশ হারে। সেক্ষেত্রে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মধ্যে ডিএ জনিত বৈষম্য আন্দোলনে সূত্রপাত করেছে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের কথায়, বৈষম্য ঘুচিয়ে ডিএ হার সুষম করুক সরকার।