রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য দারুণ সুখবর। শীঘ্রই প্রচুর শূন্যপদে প্রার্থী নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য। ভোট মিটতেই শুরু হল তার প্রস্তুতি। এর আগেই খবর মিলেছিল, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরগুলিতে শূন্যপদ থাকলেও সেখানে প্রার্থী নিয়োগ হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে আধিকারিকদের। অথচ পঞ্চায়েত ভোটের কারণে সমস্ত কর্মসূচি স্থগিত ছিল এতদিন। তবে এবার পুরোদস্তুর তোড়জোড় শুরু হল রাজ্যের অন্দরে। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অনুমোদিত পদের নিরিখে কতজন কর্মী রয়েছেন, তার হিসেব চেয়ে পাঠাল নবান্ন।
সূত্রের খবর, রাজ্যের কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতর সোমবার এ ব্যাপারে চিঠি পাঠিয়েছে বিভিন্ন দপ্তরে।আপাতত মোট চার শ্রেণীর কর্মীর হিসেব চাওয়া হয়েছে। সেগুলি হল, লোয়ার ডিভিশন অ্যাসিস্টেন্ট, আপার ডিভিশন অ্যাসিস্টেন্ট, হেড অ্যাসিস্টেন্ট ও সেকশন অফিসার। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলির মোট অনুমোদিত পদ কত ও সেখানে কতজন কর্মী ৩০ জুনের নিরিখে কাজ করছেন, সেই সকল তথ্যের ফরম্যাট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। বিশেষ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজগুলি সেরে ফেলতে চাইছে রাজ্য। আগামী দুই মাসের মধ্যে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে দপ্তরগুলিকে। অতএব আশা করা যাচ্ছে, এই সকল পরিসংখ্যান একজোট করে শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে নিয়োগ প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুনঃ বর্তমানে কি কি চাকরির ফর্ম ফিলাপ চলছে দেখে নিন
কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে মোট ১ লক্ষ ২৫ হাজার কর্মী নিয়োগ করবে রাজ্য। এই নিয়োগ তালিকায় ছিল শিক্ষক, নার্স, গ্রুপ ডি, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী-সহ অন্যান্য পদ। গ্রুপ ডি পদে বারো হাজার কর্মী ও গ্রুপ সি পদে তিন হাজার কর্মী নিয়োগের ঘোষণাও করেন মুখ্যমন্ত্রী। সাধারণত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে বাছাই করে এই সকল পদে কর্মী নিয়োগ করে সরকার। এখান থেকে পদন্নোতির মাধ্যমে পূরণ করা হয় উর্ধ্বতন পদগুলি। আসছে বছর লোকসভা ভোট। এদিকে, ক্রমেই বেকার সমস্যা তীব্র হচ্ছে বঙ্গে। পাশাপাশি, শূন্যপদগুলি পড়ে থাকা ও নিয়োগ না হওয়ায় অসন্তোষ বাড়ছে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে। তাই দ্রুত কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে এই সকল সমস্যার সমাধান চাইছে সরকার। বর্তমানে এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল।
আরও পড়ুনঃ ভারত পেট্রোলিয়াম বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ