জনসাধারণের উন্নতিকল্পে ইতোমধ্যে বেশ কিছু প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পগুলিতে নাম নথিভুক্ত করলে মেলে মাসিক বা বাৎসরিক আর্থিক সাহায্য।পশ্চিমবঙ্গের লোকশিল্প বিখ্যাত। তাই এই শিল্পকে মেলে ধরতে ও শিল্পীদের উন্নয়নে একটি সামাজিক প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এই প্রকল্পের হাত ধরে প্রতিমাসে এক হাজার টাকা পান বাংলার লোকশিল্পীরা।
বাংলার ঐতিহ্যপূর্ণ লোকগান জগত বিখ্যাত। তাই এই সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের সামাজিক উন্নয়নের ব্যবস্থা করা একান্ত জরুরী। এই কথা মাথায় রেখে ২০১৭ সালে একটি প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এই প্রকল্পে যাঁরা নাম নথিভুক্ত করেন, তাঁদের সরকারের তরফে একটি পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। লোকশিল্পীদের মধ্যে যাঁদের বয়স ৬০ বছরের বেশি, তাঁদের পেনশন দেওয়ারও ব্যবস্থা করেছে সরকার। প্রতিমাসে এক হাজার টাকা প্রদানের পাশাপাশি প্রকল্পে নাম থাকা ব্যক্তিদের সরকারের বহু উন্নয়নমূলক প্রকল্পে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া, প্রত্যেক শিল্পীকে প্রতিমাসে অন্তত ৪/৫ টি অনুষ্ঠান করার সুযোগ দেওয়া হয় সরকারের তরফে। প্রকল্পের আবেদন যোগ্যতা ও আবেদন জানানোর নিয়মাবলী বিস্তারিত জেনে নিন।
আরও পড়ুনঃ সরকারের নতুন প্রকল্পে যুবক-যুবতীরা পাবেন ২৫০০ টাকা
প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই কোনো না কোনো লোক শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে (যেমন, বাউল গান, ছৌ নাচ, পটের গান, রণ নৃত্য, ঝুমুর গান ইত্যাদি)। পাশাপাশি, স্থানীয় লোকশিল্পীরাও প্রকল্পে আবেদনযোগ্য।
তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরে গিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের আবেদন জানানো যাবে। যে লোকশিল্পী যে জেলার বাসিন্দা, সেই জেলার তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক বা মহকুমা তথ্য, সংস্কৃতি আধিকারিকের কাছে আবেদন জানাতে পারবেন। আবেদন জানানোর সময় শিল্পীকে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে তাঁর একটি পরিচয়পত্রও জমা দিতে হবে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতির কাছ থেকে লোকশিল্পী তাঁর পরিচয়পত্র বানিয়ে নিয়ে সাবমিট করবেন। সঙ্গে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট হিসেবে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, পাসপোর্ট সাইজ ছবি ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস সাবমিট করতে হবে। আবেদন গৃহীত হওয়ার পর সরকার সরাসরি আসবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রকল্পের টাকা প্রেরণ করবে।