চাকরির খবর

গরমের ছুটি নিয়ে বললনে শিক্ষামন্ত্রী! পড়ুন বিস্তারিত প্রতিবেদন

Advertisement

গ্রীষ্মের প্রখর তাপদাহে বঙ্গবাসী নাকাল। মাথার উপর সূর্য যেন আগুন ঝরাচ্ছে। তার উপর তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়, বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোয়। এমতাবস্থায়, রাজ্যের স্কুলে গরমের ছুটি এগিয়ে নিয়ে আসার দাবী উঠছে শিক্ষক মহল তথা অভিভাবকদের তরফ থেকে। গরমের ছুটির ব্যাপারে রাজ্য সরকার তেমন কোনো সিদ্ধান্ত না নিলেও ইতিমধ্যেই বিকাশ ভবনের তরফ থেকে মর্নিং স্কুল অর্থাৎ সকালে স্কুল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মর্নিং স্কুল চালু হলেও ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় যাতে কোনো ঘাটতি না হয় তার দায়িত্ব নিতে হবে শিক্ষক- শিক্ষিকাদের। কোনো ক্লাস যেন মিস না যায় সেদিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে শিক্ষক- শিক্ষিকাদের।

করোনা মহামারী শেষে দুই বছরের পর স্কুল কিছুদিন আগেই আবার পূর্বের মতো নিয়মিতভাবে শুরু হয়েছে। ক্লাসে পঠনপাঠন কিছুটা এগিয়েছে। নীচু শ্রেণীগুলোর প্রথম সামেটিভ পরীক্ষা বা প্রথম ইউনিট টেস্ট আর কিছুদিনের মধ্যেই হবে। সেক্ষেত্রে গরমের ছুটি পড়ে গেলে পড়াশোনায় আবার ছেদ পড়বে। তাই, মর্নিং স্কুল যতদিন সম্ভব চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিকাশ ভবনের তরফ থেকে। তবে মর্নিং স্কুল হলেও মাথার ওপর রোদ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে পড়ুয়াদের।
মর্নিং স্কুল শুরুর নির্দেশ দিলেও গরমের ছুটির দাবীটা কিন্তু কমছে না, বিশেষ করে পশ্চিমের জেলাগুলোয়। পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া প্রভৃতি জেলায় তাপদাহ প্রবল মাত্রায় বেড়েছে। তাপমাত্রার পারদ ৪২°c থেকে ৪৩°c পর্যন্ত পৌঁছেছে। এই তীব্র গরমে মর্নিং স্কুলও বিপজ্জনক হতে পারে বলে দাবী বহু বিশেষজ্ঞের। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের সরকারি, বেসরকারি সমস্ত স্কুলেরই সময়সীমা কমানোর সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। পূর্বে যেখানে মর্নিং স্কুলে সকাল ১১ টায় ছুটি হতো, সেখানে সকাল ১০ টায় ছুটি করা হবে এবার থেকে।

আরও পড়ুনঃ
রাজ্যের স্কুলে নন- টিচিং স্টাফ নিয়োগ
উচ্চ মাধ্যমিক পাশে বিডিও অফিসে কর্মী নিয়োগ
রাজ্যে আশা কর্মী নিয়োগ চলছে

তীব্র গরমে শরীরে জল কমে গিয়ে ডিহাইড্রেশনের মতো ঘটনা ঘটছে। ছাত্রছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বহু স্কুলে ঘনঘন লোডশেডিং হবার কারনে সমস্যা আরও জটিল হয়ে উঠছে। বহু স্কুলে শুরু হয়েছে জলের সমস্যা। স্কুলে থাকা নলকূপ থেকে জল পড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে পুরুলিয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের স্কুলগুলোতে এমন ঘটনা ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে অভিভাবকরা গরমের ছুটির দাবী জানিয়ে আসছেন। অন্যদিকে পড়াশোনার ক্ষতির কথা ভেবে অনেকেই ছুটির বিরুদ্ধে মত দিচ্ছেন। পূর্ব নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী, সরকারি স্কুলে এবার গরমের ছুটি পড়ার কথা ২৪ মে থেকে। চলবে ৪ জুন পর্যন্ত অর্থাৎ গরমের ছুটি ধার্য করা হয়েছে মাত্র ১১ দিন। বহু শিক্ষকের বক্তব্য, ঐ ছুটির সময়সীমা এগিয়ে এনে এখনই ছুটি দেওয়া উচিত।

এই নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে পুরো বিষয়টি জানাবো, এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হবে, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী।’

Related Articles