স্কুল শিক্ষা দফতরের নিয়ম অনুসারে সরকারি স্কুলে কর্মরত শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশনি করতে পারবেন না। এদিকে, আশঙ্কার বিষয় হল সরকারি স্কুলের শিক্ষকদেরই প্রাইভেট টিউশনির চাহিদা দিনকে দিন বাড়ছে। এ বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা হয়েছিল আগেই। বেশ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছিল রাজ্য সরকার। তার পরেও একাধিক জেলায় কর্মরত শিক্ষকেরা টিউশনি বজায় রেখেছেন। আর তাই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে এবার মাঠে নামল রাজ্য।
সূত্রের খবর, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এই কমিটিকে তদন্ত শুরু করার ভার দিয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার স্কুল শিক্ষকেরা যাঁরা প্রাইভেট টিউশনি করছেন তাঁদের তালিকা তৈরি হয়েছে। তালিকায় নাম থাকা শিক্ষকদের তদন্তকারী সদস্যদের মুখোমুখি হতে হবে। তারপর গোটা রিপোর্টটি পাঠানো হবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে।
আরও পড়ুনঃ উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাস পরিবর্তন
সূত্রের খবর, স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশনির রমরমা আটকাতে বিদ্যালয় পরিদর্শকদের নির্দেশ দিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তবে কোনো ইতিবাচক উত্তর না আসায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক কড়া চিঠি পাঠায় পর্ষদ। সূত্রের খবর, স্কুলে কর্মরত অথচ প্রাইভেট টিউশনির সঙ্গে যুক্ত বহু শিক্ষকের নাম ইতিমধ্যেই একজোট করেছে জেলা স্কুল পরিদর্শকেরা। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার থেকেই প্রচুর শিক্ষক-শিক্ষিকার নাম পাওয়া যাচ্ছে। অন্যান্য জেলাতেও শিক্ষকদের নামের তালিকা নেহাত মন্দ নয়।