আর কিছুদিনের অপেক্ষা। তার পরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে পুজোর কাউন্টডাউন। সেই আবহে রাজ্যবাসীকে খুশির খবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় আশি হাজার টাকার লোন দেওয়ার ঘোষণা করলো রাজ্য সরকার। নির্দিষ্ট কিছু শর্ত মানলে মিলবে এই ঋণ। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে তার আবেদন গ্রহণ। কারা এই লোন পাবেন, আর কিভাবে আবেদন করবেন আসুন জেনে নেওয়া যাক।
রাজ্যের হকারদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো রাজ্যের সমস্ত পুরসভা ও পুরনিগম এলাকার হকারদের জন্য একটি নয়া স্কিমের সূচনা করেছে সরকার। এই স্কিমে তিন দফায় মোট আশি হাজার টাকার ঋণ দেবে রাজ্য। যার প্রথম দফায় দেওয়া হবে ১০ হাজার টাকা। সেই ঋণ পরিশোধ করলে মিলবে দ্বিতীয় দফার ঋণ। এই ঋণের পরিমাণ হবে ২০ হাজার টাকা। এক বছরের মধ্যে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। যথাসময়ে দ্বিতীয় দফার ঋণ শোধ করতে পারলে মিলবে আরও ৫০ হাজার টাকা লোনের সুবিধা। সবমিলিয়ে একজন ব্যক্তি পেতে পারেন মোট ৮০ হাজার টাকা। পাশাপাশি, যে ব্যাঙ্ক এই লোন দেবে, তাঁদের নির্ধারিত সুদের উপরে ৭ শতাংশ ছাড় পাবেন হকাররা। সাধারণত এই লোন দেবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি।
আরও পড়ুনঃ এই স্কীমে আবেদন করলেই রাজ্য সরকার দিচ্ছে ৩০ হাজার টাকা
রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট লোনের সুবিধা পেতে হলে আবেদন জানাতে হবে। সেক্ষেত্রে হকাররা যে পুরসভা বা পুরনিগম এলাকায় ব্যবসা করেন, সেখানে গিয়ে আবেদন করতে হবে তাঁদের।গ্রামীণ এলাকার কোনোও বাসিন্দা যদি পুর এলাকায় হকারি করেন, তবে তাঁরাও এই সুবিধার অন্তর্ভুক্ত হবেন। প্রকল্পের জন্য প্রতিটি পুরসভায় ঠিক করা হয়েছে একজন করে নোডাল অফিসার। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা মিলিয়ে এই প্রকল্পের আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ৭৫ হাজার ২৭২টি। যার মধ্যে ৪৬ হাজার ৫৬৯টি আবেদন লোনের জন্য অনুমোদন পেয়েছে। সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে বর্ধমান পুরসভায়। দ্বিতীয় স্থানে ব্যারাকপুর। নবান্ন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার ৩৩৮ জন হকার লোন পেয়ে গিয়েছেন। বলাবাহুল্য পুজোর আগে সরকারের এই পদক্ষেপে মুখের হাসি চওড়া হয়েছে রাজ্যের হকারদের।