রাজ্য মন্ত্রীসভার অনুমোদনে পাশ হয়েছে বাংলার শিক্ষানীতি। এই নয়া শিক্ষানীতির অঙ্গ হিসেবে একাধিক পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় এবং সর্বভারতীয় পরীক্ষায় তাঁরা সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হতে পারেন, তাঁর জন্য উচ্চশিক্ষার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা চলছে। ইতিমধ্যে পাশ হওয়া নয়া শিক্ষানীতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এবার থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে আনা হবে সেমিস্টার সিস্টেম। সেক্ষেত্রে বছরে একটি পরীক্ষার বদলে দুই ভাগে দুটি পরীক্ষার আয়োজন করা হবে।
এতদিন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বলতে বোঝাতো বাৎসরিক একটি বড় পরীক্ষা। যার প্রশ্ন আসে বোর্ডের তরফে। রাজ্য জুড়ে অসংখ্য পরীক্ষাকেন্দ্রে এই পরীক্ষায় বসেন ছাত্র ছাত্রীরা। পরীক্ষা শেষের তিন মাসের মাথায় প্রকাশ করা হয় রেজাল্ট। সারা রাজ্যব্যাপী মেধা পর্যালোচনা হয় পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে। তবে এবার থেকে সেই প্রচলিত নিয়মে আসছে ভাঙন। নয়া নিয়মে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাটিকে ভেঙে দুই ভাগে ভাগ করা হবে। উচ্চমাধ্যমিক সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের মাধ্যমিক দেওয়া ছাত্রছাত্রীরা যাঁরা একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হবেন, তাঁরা এই নয়া ধাঁচের পরীক্ষা দেবেন। অর্থাৎ দ্বাদশ শ্রেণীতে দুটি সেমিস্টারে আয়োজিত হবে উচ্চমাধ্যমিক।
আরও পড়ুনঃ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে আসতে চলেছে বড়সড় পরিবর্তন
সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, একটি সেমিস্টার হবে নভেম্বরে আর একটি সেমিস্টার হবে মার্চ মাসে।নভেম্বরের প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষায় থাকবে মাল্টিপল চয়েস ভিত্তিক (এমসিকিউ) প্রশ্ন। আর বছরের দ্বিতীয় সেমিস্টার তথা মার্চের পরীক্ষায় থাকবে ছোট প্রশ্ন ও বড় প্রশ্ন উভয়েই। সংসদের তরফে বক্তব্য, কোনো একটি সেমিস্টার পরীক্ষার ভিত্তিতে চূড়ান্ত নম্বর নির্ধারণ হবে না। উচ্চমাধ্যমিকের নম্বর চূড়ান্ত হবে দুটি সেমিস্টারের নম্বর বিবেচনা করে। রাজ্যের শিক্ষানীতি মেনেই যে এহেন সিদ্ধান্ত হয়েছে তাও স্পষ্ট করেছেন সংসদ সভাপতি। বিধানসভায় বিল পাশ হলে পর এ বিষয়ের যাবতীয় নিয়মাবলী প্রকাশ করা হবে।