ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হল উচ্চমাধ্যমিকে। ঘটনাটি হাওড়া জেলার বাগনান আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের। পরীক্ষা চলাকালীন এই মারাত্মক ভুল কর্তৃপক্ষের নজরে পড়েনি।
এদিন উচ্চমাধ্যমিকের শারীর শিক্ষার পরীক্ষা ছিল। এই বিষয়ে ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা ছিল। বাকী নম্বর প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ। সকাল ১০ টা থেকে ১২ পর্যন্ত দুই ঘণ্টা পরীক্ষা হয়। তবে, স্কুল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হীনতার কারনে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায়, একাদশ শ্রেণির প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়।
অভিযোগ, প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর ছাত্রছাত্রীরা সিলেবাস বর্হিভূত প্রশ্ন দেখে পরীক্ষকের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে অভিযোগ জানায়। কিন্তু পরীক্ষক তাদের কথায় গুরুত্ব দেননি। পরীক্ষার শেষে খাতা গোছানোর সময় পরীক্ষক ভুল বুঝতে পারেন। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এই ঘটনায় পরীক্ষা পর্যবেক্ষক, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ঘাড়ে দোষ চাপান। স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজেদের দোষ স্বীকার করেছেন। পরে, ছাত্রছাত্রীদের পুনরায় পরীক্ষা দিতে হয়। ঐদিন দুপুর ২ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত সঠিক প্রশ্নপত্রে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা হয়।
তবে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরা পরীক্ষার্থীদের ডেকে পুনরায় দ্বাদশ শ্রেণীর প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকের মতো একটা এত বড় বোর্ড পরীক্ষায় স্কুল কর্তৃপক্ষের এরূপ দায়িত্বহীনতায় অভিভাববক তথা পরীক্ষার্থীরা হতাশ। পরীক্ষার পর্যবেক্ষণ সিস্টেম নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিশেষজ্ঞ মহলে।