সারা রাজ্য জুড়ে প্রায় এক লক্ষ আঠেরো হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। বর্তমানে ছয় সাতটি জেলায় অঙ্গনওয়াড়ি ওয়ার্কার ও হেল্পার নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। সেখানে বয়সসীমা ধরা হচ্ছে ৪৫ বছর। এদিকে কেন্দ্রের তরফে বয়সের উর্ধ্বসীমায় পরিবর্তন আনায় স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যে জটিলতা বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। এদিকে, কেবল বয়সসীমা নয়, শিক্ষাগত যোগ্যতাতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে অঙ্গনওয়াড়ি হেল্পার পদের আবেদনের জন্য ন্যুনতম অষ্টম শ্রেণী পাশ যোগ্যতা আর অঙ্গনওয়াড়ি ওয়ার্কার পদের জন্য লাগত মাধ্যমিক পাশের যোগ্যতা। এখন উভয় পদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে উচ্চমাধ্যমিক পাশ।
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের উর্ধ্বসীমা ৪৫ বছর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। এদিকে, তার ঠিক বিপরীত পথে হেঁটেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অঙ্গনওয়াড়িতে চাকরি পাওয়ার বয়সের উর্ধ্বসীমা ৪৫ থেকে কমিয়ে ৩৫ বছর করেছে কেন্দ্র। এই সিদ্ধান্তকেই কার্যকর করতে হবে বাংলায়। চাপ আসছে কেন্দ্রের তরফে।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যের প্রায় লক্ষাধিক মহিলার কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি
সূত্রের খবর, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি লিখতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজার বক্তব্য, এর কারণে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন রাজ্যের প্রান্তিক মানুষেরা। সম্প্রতি কেন্দ্রের একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়ে এই বিষয়টিই তুলে ধরেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। রাজ্যের তরফে বক্তব্য, সবদিক ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।